স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কায়সার মিশুর বিরুদ্ধে , সার, বিজ,কীটনাশক ,বিনামুল্যে বিতরন তালিকা প্রস্তুত বিতরনসহ বিসিআইসি সার ডিলারদের সাথে সখ্যঁতা গড়ে তোলা সহ অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের ৭২ টি ওয়ার্ড ১ টি পৌর সভার ৯ টি ওয়ার্ডসহ মোট ৮১ টি ওয়ার্ডের সরেজমিন তথ্যানুসন্ধান এবং কৃষকদের সাথে
কথা বলো জানাযায় সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয় ও কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বিতরনের জন্য দুই বছরে প্রায় শতাধিক টন ইউরিয়া,পটাস, ফসফেস, সার বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
কিন্তু দুঃখ জনক হলে ও সত্য এসব সার প্রকৃত কৃষকের হাতে পৌছায় নি। কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করনের নামে এসব সুবিধা দেয়া হয়েছে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের।
এছাড়াও ধান,গম,শরিষা,ভুট্টা, ডাল,শাক সবজি,পেয়াজ, বিভিন্ন প্রজাতির বীজ প্রকৃত কৃষকের না দিয়ে তিনি জনপ্রতিনিধির সাথে স্বজনপ্রীতি করে তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করেছেন বলে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কৃষকরা দাবী করেন।
অনেকে এই বীজ তুলে নিয়ে কালো বাজারে বিক্রি করেছেন এমন তথ্য ওঠে এসেছে অনুসন্ধানে। অনেকে আবার গম ও ভুট্টার বিজ আটা করে রুটি বানিয়ে খেয়েছেন।
কৃষি অফিসারের অধীনে বাস্তবায়িত ৫ /৭ টি প্রকল্প শুধুই কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। মাঝে মধ্যে জেলা কিংবা বিভাগীয় কোন কর্মকর্তা এনে মাঠ দিবস পালন করার ও অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
তিনি উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উপজেলা সার ও বিজ মনিটরিং ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরেছে।ফলে খুচড়া সারের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পরেছে।
প্রতিটি বাজারের অলিতে গলিতে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে ওঠেছে অবৈধ সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকান।লাইসেন্স বিহীন এসব সার বিজ ও কীটনাশকের দোকান বৃদ্ধির ফলে তারা
তাদের ইচ্ছে মত দাম হাকিয়ে কৃষকদের নিকট সার, বীজ ও কীটনাশক বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।শুধু তাই নয় ডিজেল এর ও একই অবস্থা।
অনুসন্ধানে গোপন ক্যামেরায় ওঠে আসে
এসব অবৈধ ব্যাবসায়ীদের কথা! তারা বলেন স্যারদের কথা মত মত ১০ থেকে ২০ বস্তা সার ডিলারদের নিকট গোপনে ক্রয় করে আমরা বিক্রি করি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা কায়সার মিশু বলেন,২০ বছর আগে খুচড়া সার ডিলার তালিকা হয়েছিল।তাদের টাকা জমা নেওয়া হয়েছিলো।
লাইসেন্স না দেওয়ায় অনেক খুচড়া ডিলার আবার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।নতুন করে আবার লাইসেন্স বিতরন প্রক্রিয়া শিঘ্রই শুরু হবে।তবে তিনি তাদের তালিকা উপস্থাপন করতে পারেনি!
কৃষি বিভাগের আওতায় প্রকল্প সমুহের তথ্য চাইলে তিনি বলেন সাংবাদিকদের সাথে বরাবরই কৃষি বিভাগের সম্পর্ক ভালো।তথ্য না চাইলেই ভালো হয়।
সার, বিজ,আধুনিক যন্ত্রপাতি বিতরনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিব্রত বোধ করেন।
ফলে পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের সামগ্রিক তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করা হয়েছে।