
মোঃ আব্দুল আজিম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রাম সদরের ভেলাকোপা এলাকার শিশু মারুফা জাহান মাইশার আঙুল রেখে পেটে অস্ত্রোপচার করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিকরা।
৭ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে জেলার উলিপুর উপজেলার মসজিদুল হুদা মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। এতে ফেন্ডস ফেয়ার, সামাজিক সংগঠন ‘নারী’, সাতরং সামাজিক সংগঠন ও আরও কয়েকটি সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, উলিপুর বর্নিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (গবা), সাবেক মহিলা কাউন্সিলর মর্জিনা বেগম, নারী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমীন, মাসুম করিম, মতলেবুর রহমান মঞ্জু, মাহফুজুর রহমানসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, শিশু মাইশাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে চিকিৎসকরা। অনিবন্ধিত হাসপাতালে তাকে নিয়ে আঙুলের অপারেশন করার নামে হত্যা করেছে তারা। এ সময় ঢাকার রূপনগর থানায় মামলা নিতে গড়িমসির অভিযোগ করেন মাইশার পরিবার। এ ঘটনায় দ্রুত আইনি পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনকারীরা।
কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারীপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ৬ বছরের মেয়ে মাইশার ডান হাতের আঙুল সার্জারি করতে গেলে ঢাকার মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়দানকারী ডা. মো. আহসান হাবীব ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে সার্জারি করতে ৩০ নভেম্বর সকালে মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অপারেশনের এক পর্যায়ে মারা যায় মাইশা।
পরে তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলে মিরপুর-১ নম্বরের গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় মাইশার মৃত্যুর খবর। কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই ডা. আহসান হাবিব ও ক্লিনিকের লোকজন অ্যাম্বুলেন্স ডেকে জোর করে লাশ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বাড়িতে লাশের গোসল করানোর সময় দেখা যায় শিশুটির তলপেট অপারেশন করা। সেখানে ২০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। রাতে সদর থানা পুলিশকে জানিয়ে শিশুটিকে বাড়ির আঙিনায় দাফন করে স্বজনরা।

এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর (রোববার) সংশ্লিষ্ট আলম মেমোরিয়াল হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার রূপনগর থানায় অভিযোগ করেছেন শিশু মাইশার বাবা মোজাফ্ফর হোসেন। কিন্তু থানার ওসি মামলা নেননি। অভিযোগ পরিবর্তনের জন্য অভিযোগকারীকে জোর করা হয় বলেও জানান তিনি।







