আমিন উল্লাহ, সত্যকন্ঠ,কক্সবাজার:
কক্সবাজার সদর থানাধীন ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামী আমান উল্লাহ’কে কক্সবাজার সদর এলাকা হতে র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার।
গত ০৭ জুন ২০২৩ তারিখে কক্সবাজার সদর থানাধীন মুহুরী পাড়া এলাকায় ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার দিন আনুমানিক বিকাল ১৬.০০ ঘটিকায় ভিটিমের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার জন্য গেলে ভিকটিমকে ধর্ষক আমান উল্লাহ পার্শ্ববর্তী দোকান হতে সিগারেট কিনে এনে দেওয়ার কথা বলে একই এলাকার জনৈক সাব্বির এর বসত ঘরে ডেকে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে মুখ চেপে ধরে এবং ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার শুরুকরলে ধর্ষক ভিকটিমকে বিভিন্ন রকমভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে তখন পরিবারকে উল্লোখ্যে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করে এবং ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে স্থানীয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বিগত ১৩ জুন ২০২৩ তারিখে কক্সবাজার সদর থানায় উক্ত ধর্ষককে আসামী করে একটি শিশু ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৪/৩১৮, তারিখ ১৩ জুন ২০২৩, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক আমান উল্লাহ গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে এই বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত হওয়া মাত্রই উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ধর্ষক আমান উল্লাহ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার এড়ানোর উদ্দেশ্যে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সে কক্সবাজার সদর এলাকায় অবস্থান করছে। অবশেষে তার সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত করতঃ র্যাব-১৫, কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি আভিযানিক দল মামলা দায়ের হওয়ার ০৪ দিনের মধ্যে অদ্য ১৭ জুন ২০২৩ তারিখ আনুমানিক ১১.৫০ ঘটিকায় কক্সবাজার সদর থানাধীন বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী মহেশখালী উপজেলার কালাগাজী পাড়া এলাকার লাল মোহাম্মদ এর ছেলে ধর্ষক আমান উল্লাহকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আমান উল্লাহ ভিকটিমকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে।
উল্লেখ যে, উক্ত আসামীর নামে মহেশখালী থানায় পুলিশ হত্যা মামলাসহ দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও উক্ত আসামী মহেশখালীতে বিভিন্ন ডাকাত বাহিনী ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।