বঞ্চনার ও নির্যাতনের চিত্রগুলোর বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে তরুণ-তরুণীদের রং-তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছে প্রতিবাদের ভাষা।
রবিবার (১৮ আগষ্ট) সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত বরইছড়ি সদরে জরাজীর্ণ গণপূর্ত দেয়ালে কর্মসূচি শুরু হয়। দেয়ালগুলোর সাদা রঙের রাঙিয়ে তাতে আঁকা হচ্ছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গৌরবময় নানা চিত্র এবং পাহাড় ও সমতলে সম্মান অধিকারসহ পাহাড়ে কষ্টের কথা, বঞ্চনার ও নির্যাতনের চিত্র রং-তুলি দিয়ে আঁকছেন। পরিস্থিতির বিবেচনায় এই দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতির কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাপ্তাই বরইছড়ি সদরে জরাজীর্ণ গণপূর্ত দেয়ালে একদল তরুণ সমাজ ও শিক্ষার্থী রং-তুলি নিয়ে গ্রাফিতি আঁকছে। সেখানে প্রতিবাদী কন্ঠে দেয়ালে রং-তুলির মাধ্যমে ছাত্রজনতার আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্রসহ পাহাড়ে দুঃখ-কষ্টের কথা, বঞ্চনার ও নির্যাতনের চিত্র ফুটিয়ে তুলছেন। পাশাপাশি দেশকে নতুন করে সাজানোর
দেয়ালে একঝাঁক তরুণ-তরুণীদের হাতে রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছে অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি, বৈষম্যহীনতার বিরোধ চিত্র। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেয়ালে ফুটিয়ে তুলছে দেশের মানচিত্র আর লাল সবুজের পতাকাকে এবং পাহাড়ে বঞ্চনার, কথার কথায় বুলিং ও দুঃখ-কষ্টের কথা চিত্রগুলো দেয়ালে আঁকছেন তাঁরা।প্রতিবাদী কন্ঠে দেয়ালে গ্রাফিতি অংকন অংশগ্রহণে শিক্ষার্থীর নীতি তালুকদার, বীর কুমার ও সুগত তংঞ্চগ্যা জানান, বরইছড়ি সদরে বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে দেয়ালে আমরা আমাদের মতো করে সাজাবো। উপজেলায় প্রতিটি দেয়াল আমরা রঙিন করে সাজাতে চাই। অন্যদিকে আদিবাসী তরুণ সমাজের নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন স্থানে দেয়ালকে সুন্দরভাবে সাজাতে এই শিল্পকর্মের কাজগুলো চলছে। নান্দনিকভাবে দেয়ালগুলো রাঙানো হচ্ছে। রং-তুলির দিয়ে দেয়াল রাঙানোর জন্য বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছেন।