কালিয়াকৈরে চন্দ্রা স্পিনিং কারখানা টি দখলে নেয়ার অভিযোগ
মোঃ হারুন অর রশীদ,গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার দক্ষিণ চন্দ্রাস্থ চন্দ্রা স্পিনিং মিলস্ টি একজন শেয়ার হোল্ডারের নেতৃত্বে দখলে নেয়ার অভিযোগে গত২৪আগষ্ট শনিবার রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।চন্দ্রা স্পিনিং মিলসের পক্ষে সাধারণ ডায়েরি করেছেন চন্দ্রা স্পিনিং মিলসের কমার্শিয়াল কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ আলী।
তিনি সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ্য করেন, চন্দ্রা স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মানজুর আলী গত ১৪ আগষ্ট দেশের বাহিরে থাকার সুযোগে গোলাম কবির ভুইয়া নামের এক আওয়ামী লীগের নেতার নেতৃত্বে গত ২৪ আগষ্ট দুপুরে শাহাদৎ হোসেন, রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক জোড়পূর্বক কারখানার ভিতরে ঢোকেন। গোলাম কবির ভুইয়া নিজেকে ওই স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি করে তিনি কারখানাটি দখলে নেন। এ সময় কিছু কর্মকর্তা কারখানা থেকে বের করে পূর্বে চাকরিচ্যুত কয়েকজন কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসিয়ে দেন।এ নিয়ে কারখানায় কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্যে আতংক মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে লন্ডনে থাকা কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মানজুর আলী মোবাইল ফোনে জানান,চন্দ্রা স্পিনিং মিলস নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ঋণ খেলাপির ৮২ কোটি টাকার মামলা চলছিল পূবালী ব্যাংকের সাথে। পরে ব্যাংকের সাথে হিসাব নিকাশ করার পর এখনো ৬৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। প্রতিমাসে আমাদের হাজিরা দিতে হচ্ছে। সেই সুবাদে গোলাম কবীর ভুইয়া আইএসবিডি’র কাছ থেকে ৩০শতাংশ শেয়ার ক্রয় করেন। এসময় তিনি গোলাম কবীর ভূঁইয়া পূর্বালী ব্যাংক থেকে কোন নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না নিয়েই কারখানার মালিক দাবী করে দখলে নেন। কেউ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে হলে পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্তে হতে হয়। তিনি গতকাল ২৪ আগষ্ট কারখানার লোকজন বের করে দিয়ে গোলাম কবীর ভূঁইয়া কারখানাটি দখলে নিয়ে তার পছন্দের লোকগুলো বিভিন্ন পদে বসিয়ে দিয়েছেন বলে মানজুর আলীকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে কারখানার কমার্শিয়াল কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ আলী বলেন,গোলাম কবীর ভূঁইয়া কারখানার মালিক এরকম কোন চিঠি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। তিনি পূর্বে চাকরিচ্যুত কয়েকজন কর্মকর্তাকে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বর্তমানের কর্মকর্তাদের বের করে দিয়ে নিজেকে এই কারখানার মালিক বলে দাবী করেন।
অভিযুক্ত গোলাম কবীর ভূঁইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং ক্ষুদে বার্তা দিলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার এসআই আতিকুর রহমান রাসেল বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।