বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার গাবতলীতে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে এক নরপশু গৃহশিক্ষকের ধর্ষণের ফলে ৭মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলশিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশ গৃহশিক্ষক আব্দুল মতিন (৫৫)কে প্রেফতার করেছে। মামলাসূত্রে জানা গেছে, গাবতলী উপজেলাধীন সুখানপুকুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আমতলীপাড়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলী ফকিরের ছেলে গৃহশিক্ষক আব্দুল মতিন (৫৫) দীর্ঘদিন যাবৎ একই গ্রামের জনৈক রিকশা চালকের ৯ম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বাড়ীতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন।
গত ২০২২সালের ১০ই মে সকাল ৮টার সময় বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে আব্দুল মতিন ওই স্কুলছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবে প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রীকে গৃহশিক্ষক ধর্ষণ করতো। লোকলজ্জার ভয়ে ও গৃহশিক্ষকের হুমকি জন্য স্কুলছাত্রী ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বলতে সাহস পায়নি।
ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ধর্ষক আব্দুল মতিন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অন্তঃসত্ত্বা ওই ছাত্রীকে গত ৬জানুয়ারি গাবতলীর নাড়ুয়ামালা ইউনিয়নের প্রথমারছেও গ্রামে জমসেদ আলীর ছেলে রেজাউলের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।
বিয়ের ঠিক ৭দিনের মাথায় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামী বগুড়া ডক্টরস্ ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে জানান, মেয়েটি ৭মাস ১০ দিনের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে গত ১৩জানুয়ারী গাবতলী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে গাবতলীতে মডেল থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকারের নির্দেশে এস আই ত্রিদীপ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আব্দুল মতিন কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মূল আসামীকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করেন মেডিকেল রিপোর্টের জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।