বিশেষ সংবাদদাতা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কয়েকটি এলাকায় বনবিভাগের জায়গা ও ভারতীয় সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বিচারে কাটছে বনাঞ্চল ও ফসলি জমি।এর সাথে বনবিভাগের গাছ ও কেটে নিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে
৩০-৩৫ টি স্পটে অবাধে মাটি কাটার মহা উৎসব চলছে। সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অজুহাতে বনাঞ্চল ও ভারতীয় সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে মাটি কাটা হচ্ছে বলে স্হানীয়রা জানায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কালিকাপুর,আনন্দপুর,নানকরা,
নাটাপাড়া, সীমান্তের জিরো পয়েন্টের পিলারের নিকট থেকে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ভরাটের অজুহাত দেখিয়ে সকাল থেকে সন্দ্ব্যা পর্যন্ত এসকেভেটর মেসিনের সাহায্যে ট্রাক ভর্তি করে দেদারছে মাটি বিক্রি করছে । সীমান্তের জিরো পয়েন্ট
থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাটি কাটা গ্রুপের এক ব্যক্তি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মাটি কাটা হচ্ছে। বিজিবি আনন্দপুর সীমান্ত বিওপি কমান্ডার হাবিলদার সাদেক বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় সরকারি কাজে মাটি কাটা হচ্ছে। এক গাড়ি মাটি বিক্রি করছে ২৫০০- ৩০০০ হাজার টাকা।
এখান থেকে প্রতিদিন ২৫ – ৩০ টি ড্রামট্রাক যোগে সকাল থেকে পুরা রাত পর্যন্ত মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবাধে মাটি কেটে ব্রিকফিল্ডে নিয়ে যাচ্ছে। এ যেন যেমন খুশি তেমন সাজো অবস্হা।
উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা মতিয়াতলি এলাকার বিশাল বনাঞ্চল কেটে মাটি বিক্রি করে বন বিভাগের জায়গা সাবাড় করে দিচ্ছে স্হানীয় প্রভাবশালী মহল। গণমাধ্যম কর্মীদের চাপের মুখেঅতিসম্প্রতি নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন ওই স্হান থেকে দুটি ভেকু জব্দ করে নিয়মিত মামলা দায়েরের মাধ্যমে ব্যবস্হা গ্রহণ করার নির্দেশনা
থাকলেও বিষয়টি বাস্তবায়নে সুর্যের আলো দেখেনি। অদ্য শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওয়াফদা রোডে মাটি বোঝাই করা ট্রাকের লাইনের কারনে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে রাতের বেলায় বাড়ি ফেরার সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।