ধামইরহাটে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ইউসিবি ব্যাংক কর্তৃক ১ হাজার বৃক্ষরোপন
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি-
নওগাঁর ধামইরহাটে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ১০ জুলাই সকাল ১০ টায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও ফার্শিপাড়া থেকে বীরগ্রাম ও আগ্রাদ্বিগুন হয়ে তালান্দার পর্যন্ত ১ হাজার তালগাছ ও অন্যান্য চারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. তৌফিক আল জুবায়ের, ইউসিবির নওগাঁ শাখা ব্যবস্থাপক এস এম মাসুদ রানা ও জয়পুরহাট শাখা ব্যাবস্থাপক মো. ফারুক আলম, বনবিট অফিসার আনিসুর রহমান প্রমুখ।
উদ্যোক্তারা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে প্রাণহাণির সংখ্যা ব্যাপক হাড়ে বেড়ে যাওয়ায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এ বছর সারাদেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কারণ উচ্চতা ও গঠনগত দিক থেকে তালগাছ বজ্রপাত নিয়ন্ত্রনে সহায়ক। এ ছাড়া তালগাছ ভূমিক্ষয়, ভূমিধস, ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ বৃদ্ধি ও মাটির উর্বরতা রক্ষা করে এবং মেঘ আকর্ষণ করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এসব কারণে ইউসিবি তালগাছ রোপনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে এ বছর কৃষিখাতে সহায়তা প্রদানমুলক প্রকল্প ভরসার নতুন জানালা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, উন্নত পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু টেকসই কৃষির প্রসার ঘটানো। পাশাপাশি বৃক্ষরোপন করা।
উল্লিখিত প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ৫০টি নির্বাচিত উপজেলাকে মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চর, হাওর, উপকূল, সীমান্তবর্তী এলাকাসহ তুলনামুলক ভাবে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা এসব মডেল উপজেলায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতি উপজেলায় এক হাজার করে সারা দেশে অন্তত ৫০ হাজার তালগাছ বা স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে অন্যান্য গাছ রোপণ করা হবে। একই সঙ্গে বজ্রপাত প্রবণ এলাকায় বজ্রপাত নিরোধক ডিভাইস স্থাপন, কৃষি উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করে ক্লাইমেট স্মার্ট/কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও যন্ত্রের ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান, কৃষকদের মাঝে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, জৈব পদ্ধতির প্রয়োগে সহায়তা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
একই প্রসঙ্গে দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট ২৫ জন করে কৃষি উদ্যোক্তাকে দক্ষতা উন্নয়ণ প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণও করা হয়েছে।