নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ সদর উপজেলার আরজি নওগাঁ ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত সুনীন চন্দ্র কর্মকারের মেয়ে সুষমা রানী কর্মকার (৩৬), ও উপজেলার জোকাবিলা গ্রামের মৃত আনিছার রহমানের ছেলে মোঃ হামিদুর রহমান (৫০) এক সাথে সদর হাসপাতাল রোড় চক এনায়েত ষ্টাফ কোয়ার্টারের সামনে ল্যাব জোন ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স নামে প্রতিষ্ঠানে
পার্টনার শিপ হিসাবে ব্যবসা প্রতিষ্টান পরিচালনা করে আসতেছিল। এমতাবস্থায় মোঃ হামিদুর রহমানের আরেকটি এনজিও প্রতিষ্ঠান আছে যার নাম জনতা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। সেই প্রতিষ্ঠানে মোঃ হামিদুর রহমানের ব্যবসায়িক পারপাসে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সুষমা রানী কর্মকার এর কাছে থেকে গত
ইং ০৫/০৫/২০২০ সালে সুষমা রানী কর্মকার এর ভাই ও ভাতিজার সামনে হামিদুর রহমান ছয়চল্লিশ লক্ষ টাকা ধার নেয়। ধার নেয়ার পর থেকে তিনি টাকা না দিয়ে তাল বানানো শুরু করেন। সুষমা রানি কর্মকার টাকা চাইতে গেলে তাকে টাকা না দিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদর্শন করতেন হামিদুর রহমান।
এ বিষয়ে সুষমা রানী কর্মকার বলেন, পার্টনারশিপে ব্যবসা থাকার কারণে মো: হামিদুর রহমান ছয়চল্লিশ লক্ষ টাকা ধার নেয়। টাকা ধার নেওয়া বাবদ আমাকে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি চেক প্রদান করেন। যাহা প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ নওগাঁ শাখার যাহার হিসাব নং-০০১১২০০০০০১৪৯, যাহার চেক নং-৬০৮৪০৫৫, একাউন্টটি M/S HASINA MOTSHA KHAMAR ষোল লক্ষ,
আইসিবি ইসলামি ব্যাংক লিঃ নওগাঁ শাখার, যাহার হিসাব নং-০২০০৩১০০৬২৬৩৪, যাহার চেক নং-০১৭৪৮৫, LAB ZONE DIAGNOSTIC COMPLEX নামে পাঁচ লক্ষ টাকা, ইউসিবি ইউনিট কোমার্শিয়াল ব্যাংক লিঃ নওগাঁ শাখা যাহার হিসাব নং-০২৭৩২০৭০০০০০০ যাহার চেক নং-১২৩৬৫৪৬, MD HAMIDUR RAHMAN বার লক্ষ টাকা, ইউসিবি ইউনাইটেড কোমার্শিয়াল
ব্যাংক লিঃ নওগাঁ শাখা যাহার হিসাব নং- 0293200000০১২২৬, যাহার চেক নং- ১২২৬১৭৭, NAFI U RAHMAN দশ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। প্রতিটির ব্যাংক হিসাব মোঃ হামিদুর রহমান নিজে পরিচালনা করে থাকেন। আমি আমার প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। এই বিষয়ে আবার বসার
জন্য গত ০৭/০২/২০২৩ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.৪৫ ঘটিকার সময় ল্যাব জোন ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স এর এক রুমের ভিতরে আমাকে মো: হামিদুর রহমান ডাকেন টাকা পয়সার লেনদেনের বিষয়ে আপোষ মিমাংসার জন্য। বৈঠক চলাকালীন সময়ে বৈঠকে উপস্থিত গন্য মান্য ব্যাক্তিবর্গ আমার কাছে থাকা হামিদুর রহমানের
প্রদানকৃত চেক গুলো দেখতে চাইলে, আমি চেক গুলো বাহির করে দেখানোর প্রাক্কালে মো: হামিদুর রহমান জোর পূর্বক আমার কাছে থাকা তার প্রদানকৃত ৪টি চেক বলপূর্বক গ্রহন করে ছিড়ে আমার মূল্যবান জামানত বিনষ্ট করে ফেলে।
আমি কান্না কাটি শুরু করলে ঐসময় বৈঠকে উপস্থিত থাকা এ্যাডঃ বিপ্লব কুমার দাস (৪০), ও
মোঃ মাহমুদুর রহমান রজার (৫০), সহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তি হামিদুর রহমানকে আটক করে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের ফোন করলে উক্ত সংবাদের ভিক্তিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের সহায়তায় মোঃ হামিদুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফয়সাল বিন আহসান বলেন, জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের ফোন করে অভিযোগ জানাইলে মো: হামিদুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে সুষমা রানী কর্মকার এজাহার দায়ের করলে মোঃ হামিদুর রহমানকে আটক রেখে কোটের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।