নড়াইলের কালিয়া উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে বালাম বই, ষ্ট্যাম্প ও নকল সরঞ্জাম উদ্ধার!
মোঃ হাচিবুর রহমান,নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কাশেম সরদারের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা অফিসের ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালের বালাম বইসহ জাল দলিলের নকল সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আভিযানিক দলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিসেস আফরিন জাহান।
৩১ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত কাশেম সরদার পরিবারের সবাইকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সে ওই গ্রামের কাউসার সরদারের ছেলে।
আভিযান সূত্রে জানা যায়, কাশেম সরদার জাল দলিল প্রস্তুত চক্রের অন্যতম সদস্য। সে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন ভূমি ও সেটেলমেন্ট অফিসের নথি চুরি করে পুরাতন স্ট্যাম্প ও জমির দলিল প্রস্তুত কাজে ব্যবহৃত আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ব্যবহার করে জাল দলিল প্রস্ততের মাধ্যমে বিপুল
পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া কালিয়া পৌরসভাস্থ গোবিন্দ নগরের স্থায়ী বাসিন্দা প্রফুল্ল বিশ্বাস নামক ব্যক্তির ১ একর ৮৮ শতক জমি প্রতারনার মাধ্যমে নিজ নামে দলিল করে নিয়েছেন।দীর্ঘ অভিযানে অভিযুক্ত কাশেমের বাড়ি থেকে বেআইনিভাবে সংরক্ষিত সরকারি
অতিগুরুত্বপূর্ণ ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সালের ঢাকার ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের একটি বালাম বই নং- ৫১২+৫, জমির মূল দলিল মোট ১৭ টি এর মধ্যে ভারতীয় স্ট্যাম্পে ৫টি, বাংলাদেশী স্ট্যাম্পে ৪টি ও পাকিস্তানি স্ট্যাম্পে ৮টি। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (যশোর) এর স্বাক্ষর ও সিল সম্বলিত ভারতীয় ষ্ট্যাম্পে ০২টি রেজিস্ট্রি ডকুমেন্ট, ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন মূল্যের বাংলাদেশী,
পাকিস্তানি ও ভারতীয় ষ্ট্যাম্প, পাকিস্তানি স্ট্যাম্পে লিখিত বয়নামা- ৫টি, সার্টিফাইড দলিল-১০টি, কালিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের সেল সার্টিফিকেট এর মূল নথি-১১টি, মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষর সহ সাময়িক মুক্তিযোদ্ধা সনদ-১টিসহ ব্রিটিশ, ভারতীয় ও বাংলাদেশের অসংখ্য কোর্ট ফি, বিভিন্ন জমির খতিয়ান, পাকিস্তানি বাইকেল- ৭টি ও দাখিলাসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মিসেস আফরিন জাহান বলেন, জেলা ম্যাজিট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া ১৯৭৪/৭৫ সালের বালাম বই ও বাংলাদেশী,
ভারতীয় ও পাকিস্তানি বিভিন্ন মূল্যের ষ্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি উদ্ধার করি। এ সময় অপরাধী পালিয়ে যায়। এ ব্যপারে নিয়মিত মামলা রুজুর জন্য কালিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।