নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ৩, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
সুমন পাল, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে তিন জন শিক্ষার্থী। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় জেলখানা মোড় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিমনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোটা আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে এখানে প্রবেশ করলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় দফায় দফায় হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। পরবর্তীতে কোটা আন্দোলনকারীরা ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। এতে কয়েক ঘণ্টা যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকে । এতে করে সাধারণ মানুষ অনেক দুর্ভোগে পড়ে এবং রাস্তার আশেপাশে ব্যানারসহ বিভিন্ন জিনিস তারা ভাঙচুর করে।
কোটা আন্দোলনকারী নরসিংদী সরকারি কলেজে ছাত্র রাব্বি সরকার বলেন, আজকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের কার্যক্রম করতে চাচ্ছিলাম কিন্তু ছাত্রলীগের পোলাপাইন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এতে আমাদের তিন ভাই আহত হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি মানা হবে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। কোটার বৈষম্য মুক্ত একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোন কোটা থাকবে না। মেধার ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি সুযোগ পাবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান শওকত ও তিন্নি আক্তার বলেন, কালকে গভীর রাতে নির্বিচারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বড় আপু ও ভাইদের উপর ছাত্রলীগ নোংরা ও লজ্জাজনক হামলা চালায়। এর আগে নির্বিচারে নির্মমভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনিয়র ভাই এবং বোনদের উপর যে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের গুন্ডাবাহিনী আমরা সবাই এতে লজ্জিত ও মর্মাহত। এটা কোন সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা হতে পারে না। কোটা মুক্ত বাংলাদেশ চাওয়াটা কি আমাদের ভুল। সরকার আমাদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত না মানবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমার রাস্তায় থাকবো। ছাত্রলীগ,পুলিশ কে কি এটা আমাদের দেখার কোন বিষয় না। আমরা কোটা বন্ধ চাই।
নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীর আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের যানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছি।