পটুয়াখালীর মহিপুরের লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা স্বস্ত্রীক হামলার শিকার হয়েছেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে আলীপুর অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ম রাস্তায় তার বাসার কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাতুরি দিয়ে তার দু,পায়ের হাটু পর্যন্ত থেতলে দিয়েছে।
হামলাকারীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসময় তার স্ত্রীর উপরও হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তার পরিবারের দাবী।
আহত লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, গ্রামের বাড়ি ইউনিয়নের তাহেরপুর থেকে আলীপুরস্থ বাসায় ফেরার পথে হত্যা উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে আলম ফকির, সোহেল ফকির, সেলিম ফকির, শাহীন, সুমন, রাজু, হেলেন কিলার বিউটিসহ আরো কয়েকজন হামলা চালিয়েছে।
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মুমসাদ সায়েম পুনাম বলেন, তার দু’পা ও কাধসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যানের বড় ভাই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। তিনিসহ তার পরিবারকে আওয়ামী রাজনীতি থেকে দুরে রাখতেই বিএনপিসহ বিভিন্ন দল থেকে আগত নব্য আওয়ামী লীগার দাবীদাররা নির্বাচনের পর এ পর্যন্ত ২৫-৩০ টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।