পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চুরির হিড়িক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে চুরির আতংকে রয়েছে পৌরবাসী। পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে হচ্ছে এ চুরি । চোরের দল ঘরের সিঁদ কেটে কিংবা দড়জা –জানালা ভেঙ্গে ঢুকে পড়েছে বাসা-বাড়ী অথবা দোকান-পাটে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে । রবিবার রাতে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের সাবেক ইউ,পি সদস্য আবদুল হাই মিয়ার দোকানের টিন কেটে ভিতওে ঢুকে অন্ততঃ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোরের দল। এর ৪/৫ দিন আগে খেপুপাড়া সরকারী মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহউদ্দিনের শান্তিবাগের বাড়ীতে দূধর্ষ চৃুরির ঘটনা ঘটেছে ।
অপরদিক.পৌরশহরের জগন্নাথ আখড়াবাড়ী এলাকায় হিরন সাহা, সেন্টু পাল মৃত বিনয় কর্মকার এবং পরিক্ষীত করের বাড়ীতে চোরেরা হানা দিয়েও কিছু নিতে পারেনি।
এর আগে নীলগঞ্জ ইউনিয়নে নবাবগঞ্জ গ্রাম বলরাম সাহা এবং মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো.আনোয়ার হোসেনের আদমপুরের গ্রামের বাড়ীতে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ স্প্রে করেছে একটি চক্র। এতে ওই দুই পরিবারের অন্ততঃ ১০/১২ জন সদস্য অজ্ঞান হয়ে যায় । এদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। এসময় এদের মধ্যে প্রভাষক আনোয়ার হোসেনের বাড়ী থেকে অন্ততঃ ১০ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার চুরি করে নেয় ওই চক্রটি । তবে বলরাম সাহার বাড়ীর কতিপয় লোকজন চেতনা নাশক খাবার না খাওয়ায় তাঁর বাড়ী থেকে কিছু নিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে প্রভাষক মো.আনোয়ার হোসেন জানান, রোজার সময় এক দূর্ঘটনা ঘটলো এখন আবার তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরি হয়েছে। এতে তাঁর পরিবার আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জগন্নাথ আখড়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা হিরন সাহা জানান, তাদের বাসায় এক সপ্তাহ আগে চোর দড়জা খুলে ভিতরে ঢুকলে তার মা টের পায় । এসময় তার ডাক-চিৎকারে চোর ঘর থেকে নেমে পালিয়ে যায় ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বিজয় হাওলাদার জানান, আখড়াবাড়ীতে একই রাতে তিন বাড়ীতে চোর হানা দিয়েছে যদিও কিছু নিতে পারেনি তবু এটা আতংক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষিকা কনা বিশ্বাস জানান, রাত আটটার দিকে তাঁর বাসায় চোর আসছিল তবে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন । এর আগেও গভীর রাতে কয়েকবার চোর তাঁর বাসায় হানা দিলেও কিছু নিতে পারেনি। তবে বার বার টার্গেট করাটা আতংক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দূর্গম এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সেখানে মাঝে মাঝে পুলিশী টহল থাকে ,তবে সেখানে চৌকিদার কিংবা দফাদারদের টহল জোড়দার করা আছে। এছাড়া ঈদুল আযহা উপলক্ষে আগের থেকে টহল পুলিশের সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আমরা সতর্ক আছি।