কুয়াকাটা পৌরসভার অভ্যন্তরীণ সড়ক সংস্কারের নামে বিপুল সংখ্যাক পুরনো গাছ কাটার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে।গনমাধ্যমে লেখালেখি হয়।এ ঘটনায় কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অচ্যুতা নন্দনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিতে বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও কুয়াকাটা পৌরসভার সদস্য রাখা হয়। আগামী ১৩ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ পৌরসভার সড়ক সংস্কার কাজে এসব গাছ কাটা হলেও পৌরসভার প্রতিনিধিকে তদন্ত কমিটিতে রাখায় সুষ্ঠ তদন্ত নিয়ে সংকা রয়েছে। একই সাথে দায় এড়াতে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেবার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তারা।
জানাগেছে, কুয়াকাটা এলজিইডি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের খাস পুকুর পাড়ের বিশালাকৃতির ১২ টি গাছ কেটে ফেলা হয়। স্কুল বন্ধ থাকাকালীন শুক্র ও শনিবার এসব গাছ কাটা হয়। গাছ কাটার সময় স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাউন্ডারি ওয়ালের বাইরের এসব গাছ কাটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। এর দ্বায় এড়াতে পৌর মেয়র ও স্কুল কর্তৃপক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, যেসব গাছ কাটা হয়েছে তা স্কুলের বাউন্ডারির বাহিরের। স্কুল বন্ধের মধ্যে এসব গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটতে গিয়ে স্কুলের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে ফেলেছে। এসময় আমি ট্রেনিং এ ছিলাম। আমি কিছুই না। অথচ পৌর মেয়র বলছেন ওই গাছ আমরা কেটেছি। অহেতুকভাবে আমাদেরকে জড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, সড়ক সংস্কার করতে গিয়ে শুধু স্কুলের গাছই নয় সড়কের পাশে থাকা তালগাছ সহ বড় বড় অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়। এসব গাছ কি তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কেটেছে? এমন প্রশ্ন তার। স্কুলের শিক্ষিকা সুরাইয়া, ডলি, জাকির হোসেন সহ একাধিক শিক্ষকরা দাবি করছেন পৌরসভা এসব গাছ কাটলেও এখন দ্বায় এড়ানোর জন্য স্কুলের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। স্কুল খোলার দিন রবিবার এসে তারা দেখেন এসব গাছ কাটা।তারা আরো দাবি করেন স্কুল বাউন্ডারির ভিতরে পশ্চিম পাশে বড় বড় ৩টি গাছ কাটতে চেয়েছে। আমরা কাটতে দেইনি।
এ বিষয় পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার গাছ কাটার দ্বায় সরাসরি স্বীকার না করে জানান, গাছের কারনে স্কুলের দেয়ালে ফাটল ধরেছে এবং সড়ক সংস্কারের জন্য গাছ কাটার যুক্তি তুলে ধরেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কমিটি গঠনের কথা নিশ্চিত করে বলেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কে বা কারা দোষী তা বেড়িয়ে আসবে। পৌরসভার প্রতিনিধি ছাড়াও কমিটিতে আরো দুইজন রয়েছে। এতএব তদন্তে এর প্রভাব ফেলবে না।