স্টাফ রিপোর্টারঃ
শিল্পির ভাষায় বলতে হয় মায়ের একধার দুধের ঋন শোধ হবে না কোন দিন, জম্ন জম্নান্তরে করলে সাধনা
দয়াবতি দরদিনি মা!সেই মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। মা জীবিত থাকতে যে সন্তান মায়ের সেবা করতে পারলোনা সে সন্তানের মত অভাবা পৃথিবীতে আর নেই।
প্রতিটি ধর্মেই মহান সৃস্টিকর্তা মা কে সর্বোচ্চ সম্মানিত করেছে।মায়ের সেবা করা প্রত্যেকটি সন্তানের উপর ফরজ করেছে মহান আল্লাহ।
বলছি পলাশবাড়ী উপজেলার রংপুর ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের মহেষপুর গ্রামের কাঞ্চন চন্দ্র ও তার ক্যান্সার আক্রান্ত মা রেনু কথা।
রেনু বালা মহেষপুর গ্রামের স্বর্গীয় ধনী রাম চন্দ্রের স্ত্রী। চার কন্যা ও তিন ছেলেসহ মোট ৭ সন্তানের জননী তিনি।চার মেয়ে সকলেই বিবাহিত তারা স্বামী সন্তান নিয়ে তারা শশুর বাড়ীতে আছেন।বড় ছেলে বিয়ে করে জীবন জীবিকার তাগিদে ঢাকায়
অবস্থান করেন।মোজে ছেলে কাঞ্চন সবে মাত্র এইচ এস সি পাশ করেছেন অর্থাভাবে অনার্সে ভর্তি হতে পারেনি।ছোট ভাই লেখাপড়া বাদ দিয়ে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন রাজমিস্ত্রী কাজ।
গত দুই বছর আগে রেনু বালার শরীরে দেখা দিয়েছে মরন ব্যাধি ক্যান্সার।রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা নিরো সাইন্স হাসপাতাল ও সর্ব শেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় মেজো ছেলে কাঞ্চন মা কে বাড়ীতে নিয়ে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন।
ইতোমধ্যেই কাঞ্চনের লেখাপড়া বন্ধ হয়েছে। সে মাকে বাড়ীতে একা রেখে অন্যকোন কাজ কর্ম করতে পারছেন না। ছোট ভাই রাজমিস্ত্রী কাজ করে যা উপার্জন করে তা দিয়েই কোন রকম মায়ের অসুধ কেনা ও মা সহ দুই ভাইয়ের খাবার জোটে।
অর্থাভাবে মায়ের চিকিৎসা করতে না পারা সন্তান মায়ের চিকিৎসার জন্য উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে একটি আবেদন ইতোমধ্যে সরকার প্রধান বরাবরে পাঠিয়েছে বলে তিনি।কিন্ত এখনো কোন সুফল মেলেনি।
বাধ্য হয়ে গিয়েছিলেন গাইবান্ধা ০৩ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি নিকট তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবারো নতুন করে আবেদন করতে বলেছেন। এবং রেনু বালাকে ফল কিনে খাওয়ার জন্য তিনি ৫শ টাকা ও উপহার দিয়েছেন।
রেনু বালার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন তার সন্তান।