প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়েছে-পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ
আলী আহসান রবি,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট:
১৭ অক্টোবর, ২০২৪
তাই আমরা পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য ভিন্ন বাজারে মনিটর মাধ্যম জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করছি। আগারগাঁও বাজারে পরিদর্শন করার পর, পরিবেশ মহাপরিচালক ঘোষণা দিলেন এক তারিখের পর থেকে কোন ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বললেন ।
আগারগাঁও বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতিকে। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য দ্রব্যের মোড়কে প্রতিদিনই পলিথিন এবং প্লাস্টিক মোড়ক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং উক্ত দ্রব্যগুলো ব্যবহারের পর বর্জ্য হিসেবে পলিথিন এবং প্লাস্টিকের মোড়কগুলো ড্রেন, রাস্তা-ঘাট, মাঠে-ময়দানে, নদী-নালা, খাল-বিল এবং ফসলের মাঠে ফেলা হচ্ছে।
পলিথিন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য মাটিতে ফেলার দরুন মাটি তার উর্বরতা হারাচ্ছে, ড্রেন, নদী-নালা, খাল-বিলে ফেলার দরুন ড্রেনগুলো ময়লা পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং নদী-নালা এবং খাল-বিলগুলো মাছ চাষে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সমুদ্রের ঢেউ এবং সূর্যের আলোর প্রভাবে প্লাস্টিকের পণ্য ধীরে ধীরে টুকরো হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়। পানি ও অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে একসময় এই মাইক্রোপ্লাস্টিক বিভিন্ন জীবের দেহে প্রবেশ করে। এক সময় ফুড চেইন বিশেষ করে মাছের মাধ্যমে মানুষের শরীরেও প্রবেশ করে, যা মানবদেহে চরম স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটায়। এছাড়া ক্লোরিনযুক্ত প্লাস্টিক বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে, যা ভূগর্ভস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠীয় পানির সঙ্গে মিশে যায়।
আর এভাবেই পানি গ্রহণে তা খাদ্যচক্রে ঢোকার মাধ্যমেও প্রতিনিয়ত আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
অন্যদিকে প্লাস্টিক উত্পাদন প্রক্রিয়ায় গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে।