বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উম্মুক্ত জলাশয়ে অবৈধভাবে খাল দখল করে মাছ চাষের হিড়িক
জাফরুল সাদিক,বগুড়া প্রতিনিধি ঃ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে অবৈধভাবে খাল দখল করে মাছ চাষ করার হিড়িক পরেছে। উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মানাস নদীর খালে জালের বেড়া দিয়ে প্রায় ৪ বছর ধরে মাছ চাষ করছেন। এতে স্থানীয়রা মাছ ধরার সুযোগে পাচ্ছেন না এবং বর্ষা মৌসুমে খালে নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে পনিউন্নয়ন বোর্ড ২.৫০কি.মি ১কোটি ৮৭লক্ষ টাকা ব্যায়ে খালটি খনন করার কথা থাকলেও প্রভাবশালীদের করনে পরে ৯৮লক্ষ ৭০হাজার টাকা ব্যায় করে ২কি.মি খনন করে। খননের উদ্দ্যোশ্য ছিল উম্মুক্তজলাশয় থেকে এলাকাবাসী মাছ ধরে খেতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, খালটি এক সময় মানাস নদীর একটি শাখা নদী ছিল। বর্তমানে খালটি কুতুবপুর থেকে শুরু হয়ে কালারতাইড় হয়ে বাঁশহাটা গ্রমে বাঙ্গালী নদীর সথে সংযুক্ত হয়েছে। ৫বছর আগেও যেখান থেকে গ্রামবাসীরা দলবেঁধে মাছ ধরতেন। সেখানে এখন স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে জাল ও বাাঁশের বানা দিয়ে মাছ চাষ করছে।
মহতাব আলী বলেন, ওই খালের আশে-পাশে অন্তত ১হাজার ৬শ পরিবার বসবাস করে। তারা সবাই পাশের খালে মাছ ধরতেন।কেউ আবার খাল থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রয় করে সংসার চালাতেন। কিন্তু বর্তমানে পাড়ের বাসিন্দারা কেউ কেউ গাছের ডাল ফেলে ঘের দিয়ে দখল করে রেখেছেন।
একইভাবে জাল দিয়ে ঘিরে দখল করে তাতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে সেখানকার অসহায় পরিবারের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, খালের কুতুবপুর সেতু থেকে কালার তাইড় এলাকা পর্যন্ত জাল ও বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। জানা যায়, খালটি অনেকখানি গভীর।
তাই এখানে মাছের দেখা মিলে বেশি। আবার এখানে মাছ চাষ করেও সহজে লাভবান হওয়া যায়।আবুল মন্ডল বলেন, আমি হবু সাকিদের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছি। তবে এভাবে মাছ চাষ বৈধ নাকি অবৈধ তা তাঁর জানা নেই। কুতুবপুর গ্রামের
রতন মিয়া বলেন, অবৈধভাবে দখল করা খাল-নদী দখলমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি জলাশয় থেকে যেন সবাই মাছ ধরতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন,আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখছি খালটি উম্মুক্ত জলাশয়।সেখানে খালের দু‘পাশের গ্রামবাসীরা মাছ ধরতেন।
এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোরশেদ বলেন,আমরা কিছুদিন আগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মুক্ত করে ছিলাম।এখন আবারো যদি জালের বেড়া দিয়ে মাছ চাষ শুরু করে তাহলে আবারো প্রশাসনের সহোযোগীতায় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও জাকির হোসেন বলেন,এটা একটা মানাস নদীর খাল। আগে চন্দনবাইশা থেকে বাঙ্গালী নদী পর্যন্ত সংযোগ ছিল।গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে খালটি গভীর করার জন্য খনন করা হয়।কাজটি শেষ হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে। খননের কারন স্থানীয়রা যাতে উম্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে খেতে পারে।