বন্যার্তদের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে কানাডায় চার ব্যান্ডের কনসার্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজানের বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে ও পুনর্বাসন সহায়তার লক্ষ্যে কানাডার অটোয়াভিত্তিক জনপ্রিয় চারটি ব্যান্ড এক সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন।
এ সহায়তার লক্ষ্যে তারা কানাডাস্থ অটোয়ার আলগনকুইন কমন্স থিয়েটারে শনিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় “অপার্থিবের আবছা নীল কণা –লাইভ” শীর্ষক এক কনসার্টের আয়োজন করে। এতে কানাডিয়ান অটোয়াভিত্তিক ব্যান্ড অপার্থিব, বিদ্রোহী, গহীন ও ম্যান অন বাইক অংশ নেয়।
কনসার্ট থেকে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের দাতা সহায়তা সংস্থা অংকুর ইন্টারন্যাশনাল বিতরণ করবে। কনসার্টের সহযোগী হিসেবে ছিল মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’।
সংস্থাটি জানায়, এ কনসার্টের উপার্জিত প্রায় ২ লাখ টাকা প্রথমে শেরপুরের বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। উল্লেখ্য, কনসার্টটি এখনও লাইভ স্ট্রিমিং করা হচ্ছে (লাইভ স্ট্রিমিং লিঙ্ক – https://www.youtube.com/live/
মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এ কনসার্টের মত আরও বেশ কয়েকটি কনসার্টের আয়োজন করা হয় ইতিপূর্বে । কনসার্ট ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও তারা জানান।
এ কনসার্টের মূল উদ্যোক্তা বাংলা সিম্ফোনিক মেটাল ব্যান্ড অপার্থিবের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকালিস্ট সালেহিন চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান কনসার্টের উপার্জিত আয়ের একটি অংশ ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসার জন্যও ব্যায় করা হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা সঙ্গীতের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও সহায়তার হাত বৃদ্ধি করতে চাই।
তিনি জানান, কনসার্টে এ ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম “আবছা নীল কণা” উন্মোচনও করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সকল ভেন্যু এবং টেকনিক্যাল খরচ বহন করেছে প্রিন্স মর্টগেজ টিম ডমিনিয়ন লেন্ডিং সেন্টারস ন্যাশনাল।
এ সময় অপার্থিব তাদের জনপ্রিয় গান “বাঙাল,” “রূপকথা,” “সাগরের প্রণয়,” “তুমি নেই,” এবং “যোদ্ধা” সহ তাদের সম্পূর্ণ অ্যালবামের গান পরিবেশন করে বলেও তিনি জানান।
তাদের গভীর লিরিক, মেটাল রিদম, অর্কেস্ট্রা আর কোয়ের-এর মিশ্রণ দর্শকদের পুরো কনসার্টের সময় জুড়ে সুরের জগতে নিয়ে যেতে পেড়েছিল বলে ব্যান্ডের সদস্যরা দাবি করেন।