বাঁশখালীতে পানি শঙ্কায় নির্ঘুমে সহস্রাধিক পরিবার
মোহাম্মদ এরশাদ বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উপকূল শেখেরখীল ইউপির জলকদর খালের বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকার ফলে জোয়ার আসলেই পানি শঙ্কায় নির্ঘুমে রাত পোহাতে হয় সহস্রাধিক পরিবারের অন্তত ১০ হাজার মানুষকে। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়,
২ নং ওয়ার্ডের শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ থেকে সরকার বাজার হয়ে মইজ্জারছড়ী এলাকার সুইচ গেইট পর্যন্ত প্রায় ১/২ কি.মি.বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকার ফলে আমাবস্যা -পূর্ণিমার জোয়ারের স্রোতে প্রতিনিয়তই প্লাবিত হচ্ছে পুরো এলাকার সহস্রাধিক পরিবারের অন্তত ১০ হাজার মানুষ।বেড়িবাঁধ অরক্ষিত থাকায় একদিকে জোয়ারের পানি
প্রতিনিয়তই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে অপরদিকে বর্ষার মৌসুমে সাম্প্রতিক টানা বর্ষনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় পুকুর,মৎস্য প্রজেক্ট, ক্ষেতখোলা ও কৃষি জমি যেনো জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।এতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলেও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।স্থানীয়রা বলেন,এই বেড়িবাঁধের কারণে আমরা ঘুমাতে পারছিনা,
জোয়ারের পানি ঘরে ঢুকে যায়,খাটের উপর বসে থাকি,ঘর থেকে বের হতে পারছিনা,রান্না বান্না পর্যন্ত করতে পারিনা,না খেয়ে মরতে হয়।এবিষয়ে শেখেরখীল ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোর্শেদ আলম ফারুকী বলেন,পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা না থাকায় টানা বর্ষনে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে, মইজ্জারচড়ী টেক এলাকার দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা সুইচ গেইটটি এলাকার লোকজন নিয়ে আমি দ্রুত খোলে দিয়ে পানি নিষ্কাসন করে বেশি ক্ষতি থেকে মোটামুটি রক্ষা করতে পেরেছি,
তবুও অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে,গত ১৯৯১ সনের প্রণয়নকারী ঘূর্ণিঝড়ের পর এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই এলাকার মানুষ। আর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ফিশিং বোট গুলো শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ ও সরকার বাজার থেকে বরফ সংগ্রহ করে থাকেন,আর ইলিশসহ সামুদ্রিক বিভিন্ন জাতের মাছ এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাপ্লাই করা হয়, ব্যবসায়ীরা মাছ সংগ্রহ করার জন্যে এখানে ছুটে আসে,
কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বেড়িবাঁধের বেহাল পরিস্থিতির কারণে এখানে গাড়ি আসতে পারছেনা।অপরদিকে জোয়ারের পানি প্রতিনিয়তই বাঁধ উপড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, যার কারণে ঘরবাড়ি, পুকুর, মৎস্য প্রজেক্ট, ক্ষেতখোলা ও কৃষি জমি লোনাপানি প্লাবিত হয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে।
এবিষয়ে আমি আবেদন করেছি,আগামী বরাদ্দ থেকে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছে,তবে বেড়িবাঁধ ও সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুত করা দরকার,তাই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ ও পানি মুক্ত করতে বাঁধ ও ধ্বংস হয়ে পড়া সড়ক সংস্কার করার জন্যে কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন,শেখেরখীল ইউনিয়নের বেশ কয়টি জায়গায় জোয়ের পানি ঢুকে অনেক
গুলো ঘর বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক দুর্ভোগে জীবন যাপন করে যাচ্ছে,বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে, চেষ্টা করতেছি কিভাবে এই সমস্যা দ্রুত স্থায়ীভাবে সমাধান করা যায়,আশা করি যতদ্রুত সম্ভব এটির স্থায়ী সমাধা করা হবে।