বাহারচড়া উপ-নির্বাচনে ভিপি সামশুল আলম
বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারচড়া উপ-নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে লড়ায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক আইন কলেজের ভিপি ও স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের জেল জুলুম ভোগকারী অকুতোভয় সৈনিক সামশুল আলম।
উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে কে হচ্ছেন বাহারচড়া ইউনিয়নের জনগণের অভিভাবক? এই নিয়ে প্রতিক্ষায় পুরো এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। এরই মধ্যে ওই ইউনিয়নের উপনির্বাচনে ভিপি সামশুল আলম এর প্রার্থিতার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে।
৫ (ফেব্রুয়ারী) উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে উপনির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে।এরই মধ্যে সামশুল আলম উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা দেয়ার পর জনতার মুখে চলছে এ হেভিওয়েট প্রার্থীর আলোচনা।
সামশুল আলম উপজেলার বাহারচড়া ইউপির চাঁপাছড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বর এর সন্তান ১৯৬৫ সালের১৬ ডিসেম্বর ওই এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন সামশুল আলম।
ছাত্র জীবন থেকে থেকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সংযুক্ত ছিলেন তিনি।বিশেষ করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭৭ সালে পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রচার সম্পাদক।১৯৮৬-৮৭ সালে ৪ নাম্বার বাহাছড়া ইউনিয়নের সহ-সভাপতি।১৯৮৬ ৮৭ সালে ওমর গনি এমই এস কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য।১৯৮৮ -৯০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর চাঁদগাও থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ল স্টুডেন্ট ফেডারেশনের সদস্য সচিব।১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজের সভাপতি।১৯৯৪ -৯৫ সালে চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়।১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটির সদস্য।বাংলাদেশ পৌর কর্মচারী বিভাগীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি ।
এছাড়াও স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অনেক বার জেল জুলুম ভোগসহ ২২ দলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ১৯৯৬ এর অসহযোগ আন্দোলনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম লালদীঘির পাডে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পেটুয়া বাহিনী সাবেক পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদার নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্বিচার গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হয়।এছাড়াও ২১শে আগস্ট গ্রেনেট হামলার সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিয়তে বোলানন্টিয়ার হিসাবে সামনের সারিতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।তবে ওই ঘটনায় অনেক নেতাকর্মী সমর্থক নিহত ও আহত হলেও নিজের দায়িত্ব ঠিকই পালন করে গেছেন সামশুল আলম ।
সামশুল বলেন,আমি ২১শে আগস্ট গ্রেনেট হামলার দিন নিজের জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিয়তে বোলানন্টিয়ার দায়িত্ব পালন করেছি।আল্লাহ সহায় ছিলেন বলে ভাগ্যক্রমে সেদিন কোন মতে বেঁচে যায়।আমি রাজনীতিতে জোয়ার ভাটা সব দেখেছি।কিন্তু বেহিসাবি জোয়ার আমাকে কোনদিন স্পষ্ট করতে পারেনি।তবুও আমার সাধ্যমতে এলাকার জন্যে ও এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি, সুখে দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, রাজনৈতিক ভাবে যার যার পছন্দের দল থাকতে পারে।তবে আমি কখনো কারো সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি।
তাই এই ভারের উপনির্বাচনে আমাকে প্রার্থী হওয়ার জন্যে সবাই অনুরোধ করতেছে।আমিও সহমত পোষণ করে নির্বাচনে লড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে,তাহলে জনস্বার্থে এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি পালনসহ মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তোলার জন্যে কাজ করবো ইনশাল্লাহ।