বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র, শত শত ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়েনিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র। নিরাপদ আশ্রয়ে শত শত জেলে ট্রলার। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে সমুদ্রে মাছ শিকার করতে না পেরে হতাশা দেখা দিয়েছে পটুয়াখালীর বৃহত্তম মৎস্যবন্দর আলিপুর মহিপুরের জেলে পরিবারের মাঝে। ভারী বৃস্টপাতের কারনে শত শত পর্যটক হোটেল বন্ধী হয়ে পরেছেন।
পায়রা সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে আলিপুর মহিপুর মৎস্য বন্দরে ফিরছে মাছ ধরার হাজার হাজার ট্রলার। তাই ট্রলারের শহরে পরিণত হয়েছে শিব বাড়িয়া নদী। বোটগুলো ঘাটে ফিরলেও ইলিশের দেখা পায়নি তারা।
জেলেরা জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে অবরোধ আর আবহাওয়া খারাপ থাকায় আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাবে। আমরা অবরোধ শেষে সাগরে যেতে পারলাম না, এর মধ্যে আবার আবহাওয়া জনিত কারণে ফিরে আসলাম। কোন ইলিশের দেখা পায়নি,তৈল এবং বাজারের টাকা লস হয়ে গেল।প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ এবং জেলেদের সরকারি সুবিধা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু শাহ বলেন, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণ সম্ভব হবে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা।এদিকে জেলেদের নিরাপত্তায় নানান ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারনে কুয়াকাটায় আগত শত শত পর্যটক হোটেল বন্ধী হয়ে পরেছে। একদিকে প্রচুর বৃষ্টি ও বাতাসে কোথাও বের হতে পারছেন না। অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন কতৃপক্ষ।








