মোঃখোরশেদ আলম,বিশেষ সংবাদদাতা:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া অন্তত আটজনই কিশোর বয়সী। স্থানীয়দের কাছে তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে পরিচিত।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আলকরা এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাত সাড়ে ১০ টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরহেদ উদ্ধার করে।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. পাভেল হোসেন (১৯)। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে এবং ধোপাখিলা গ্রামের আবদুল হালিম ভূঁইয়ার নাতি। তিনি ফেনী মহিপাল সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত পাভেলের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, বইছে শোকের মাতম।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নিজ বাড়ি থেকে পাশের আলকরা ইউনিয়নের আলকরা গ্রামের নানার বাড়িতে বেড়াতে যান পাভেল। এদিন সন্ধ্যার পর ওই গ্রামের কয়েকজন তরুণের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে যান তিনি। রাত ৯টার দিকে অন্তত আটজন কিশোর খেলার মাঠে গিয়ে নিজেরা ব্যাডমিন্টন খেলবে বলে জানায়। এ সময় ওই কিশোররা পাভেল ও তার সঙ্গীদের মাঠ থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু তারা চলে যেতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ওই কিশোররা পকেট ও কোমর থেকে ছুরি বের করে পাভেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত এবং মারধর করে। এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় পাভেলকে খেলার মাঠে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন পাভেলকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় পাভেলকে বাঁচাতে গিয়ে চারজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মাইনুল ইসলাম পাভেল নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও ৪ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।