ওবায়দুর রহমান , স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রায় ১৫ গ্রামবাসীর মধ্যে ২ ঘন্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ৪৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে । বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় হামিরদী ইউনিয়ন
পরিষদের সামনে এঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে লাঠিচার্জ করে গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতাল ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এসময় হামলাকারীরা বেশ কিছু দোকানপাট, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ ভাংচুর করে।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে মুনসুরাবাদ এলাকায় পরিবহন ও হুন্ডার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়। তখন দুর্ঘটনাকৃত পরিবহনের ড্রাইভার ভেবে মুনসুরাবাদ এলাকার মউদুল সহ উত্তেজিত গ্রামবাসী পাশের বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুলকে মারধর করে।
পরে হামলাকারীরা জানতে পারে তিনি গাড়ীর ড্রাইভার না। এই নিয়ে তখন দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এক শালিস বৈঠকেের সিন্ধান্ত হয়। তারই সুত্র ধরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বর্তমান চেয়ারম্যান খোকন সহ সাবেক
আরো ২ চেয়ারম্যান এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিসিতে উপস্থিত হয়। শালিস চলাকালে বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুল উত্তেজিত হয়ে মুনসুরাবাদ গ্রামের মউদুল ও তার লোকজনের উপর হামলা করে। তখন
মুনসুরাবাদ এলাকার আশপাশের ৪ গ্রাম ও বড়
এব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম জানান, ২ দিন আগে বড় সংঘর্ষ ঘটনা যেতে না যেতেই আবারও হামেরদী ইউনিয়নের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো। সংবাদ পেয়ে আমি ও আমার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে পৌছায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই ।
তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষেই অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ে