ভাঙ্গায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা মেয়ে সহ ঝরে গেল তিনটি প্রাণ “প্রতিবাদে বাসে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ”
ওবায়দুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা খুলনা মহাসড়কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিবাদে বাসে সড়ক অবরোধ করে বাসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মনসুরাবাদ এলাকার গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা স্টার লাইন পরিবহনের সঙ্গে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া গোপালগঞ্জগামী মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে ঘটনাস্থলেই ২জন ও অপর ১ জন কে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নিহত হন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ধর্মদী এলাকার বাকী শেখের পুত্র মাইনুউদ্দিন শেখ ১৬, নিহত মাইনুউদ্দিনের মেয়ে তাবাচ্ছুম (১০) ও ভাঙ্গা উপজেলার মাঝারদিয়া এলাকার মিরাজ মাতুব্বরের ছেলে ও নিহত মাইনুউদ্দিনের শ্যালক সৌরভ মাতুব্বর (১৬)।
এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা এসে গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রাণেশ বলেন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, আমাদের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩টি বডি আসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা তিন জনের ই মৃত দেহ পাই।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. তৈমুর ইসলাম বলেন, আজ দুপর সাড়ে ১২ টার দিকে গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা স্টার লাইন পরিবহনের বাসের সঙ্গে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া গোপালগঞ্জগামী মোটর
সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে মোটর সাইকেলে থাকা ২ আরোহী নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজন নিহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার পর ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহায়তায় বাসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মনসুরাবাদ এলাকায় গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী বাসের সঙ্গে ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে মোটর সাইকেল চালক সঙ্গে থাকা ১ আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হন। অপর জনকে হাসাপাতালে নেওয়ার পথে নিহত হন।
এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে বাসটিতে ভাঙচুর চালায় এবং অগ্নি সংযোগ করে
পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।