ভোলায় শীতের সবজির বাম্পার ফলনে চাষীদের সন্তোষ
সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলা জেলায় চলতি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ হাজার ৯’শ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে। এছাড়া নির্ধারিত জমি থেকে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯’শ মেট্রিকটন সবজি উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে।
আর সবজি এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৫’শ মেট্রিক টন। আগামী মার্চ পর্যন্ত এখানে সবজির চাষ চলবে। সামনের দিনগুলোতে আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি বিভাগ জানায়।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গতবছর জেলায় সবজির উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিকটন।
এবছরও সবজির ফলন ভালো হচ্ছে। ইতোমধ্যে শিমের উৎপাদন হয়েছে হেক্টর প্রতি ২২ মেট্রিক টন করে। লাউ হেক্টর প্রতি ৪০ মেট্রিকটন। ফুলকপি হেক্টর প্রতি ২৫ মেট্রিকটন। বাঁধাকপি হেক্টর প্রতি ২৫মেট্রিক টন, টমেটো হেক্টর প্রতি ১৮মেট্রিক টন, মূলা ১৫ মেট্রিকটন। লালশাক ১২ ও পালংশাক ১৫ মেট্রিকটন হেক্টর প্রতি উৎপাদন এসেছে।
উপ-সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, শীতকালীন সবজির মধ্যে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমির আবাদ শেষে ফলন এসেছে। পাশাপাশি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমন ধান কাটা শেষ হলে নিচু জমিতেও সবজি আবাদ শুরু হবে। কয়েক স্থানে শুরুও হয়েছে। বিশেষ করে টমেটো, পালংশাক, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি সবজি আবাদ এখোনো চলবে।
তিনি বলেন, এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও রোগ বালাই কম হওয়াতে সবজির ফলন ভালো হচ্ছে। তাছাড়া প্রথম দিকে সবজির দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা লভবান হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া সহায় থাকলে অবশ্যই সবজির বাম্পার ফলন হবে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের কৃষক কামরুল ইসলাম, লিটন মাল ও মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা ৩ একর জমিতে পালংশাক, ফুলকপি, লাউ, মূলা ও টমেটোর আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় তারা খুশি। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন বলে জানান তারা।