মতবিনিময় সভা ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, রংপুর জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে।
মাটি মামুন রংপুর।
গতকাল ১৫/৪/২৩ শনিবার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, রংপুর জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে।
সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার আইন কানুব সংস্কার কেন জরুরি? শীর্ষক এক ‘মতবিনিময় সভা ও ইফতার ‘ আয়োজিত হয়৷
উক্ত আলোচনা সভায় অংশ নেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ৷
আলোচনায় নির্ধারিত বক্তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট এবং তা থেকে উত্তরণের পথ নিয়ে মতামত রাখেন৷বাংলাদেশকে বর্তমান ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করতে হলে সরকার ও সাংবিধানিক ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনের যুগপৎ দাবিকে এক দফা দাবিতে পরিণত করতে হবে বলে মনে করেন নেতারা৷
গণসংহতি আন্দোলনের রংপুর জেলা সমন্বয়ক তৌহিদুর রহমান বলেন, সংবিধানের মধ্যেই সংবিধান নিয়ে আলোচনা নিষিদ্ধ থাকায় ক্ষমতাসীন সরকার তার ক্ষমতা নিরঙ্কুশ রাখতে পারে।গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পেতে হলে সেজন্যে সংবিধান সংস্কার ছাড়া উপায় নাই।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের জেএসডি’র রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক জিহাদি বলেন সংবিধানে যে অসঙ্গতি তার প্রতিকারে ধারাগুলোর সংস্কারের সাথে সাথে নতুন ধারা সংযুক্ত করারও প্রয়োজন রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে ফেডারেল বা প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করা প্রয়জন।গণ অধিকার পরিষদের রংপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব আশিকুর রহমান বলেন, দেশে সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল একটা সামাজিক চুক্তি যেটা বাতিল করা হয়েছে।
সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।রাজনৈতিক এক্টিভিস্ট আহমেদ বাবু বলেন,
প্রধানমন্ত্রী অবসলুট পাওয়ারের কথা বলেছেন,কিন্তু এর ফলে রাজনৈতিক মহলে সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং তখন সমাজেও সংঘাতের সংস্কৃতি চালু হয়।
দেশের বর্তমান পাচারের অর্থনীতি দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এবং আঞ্চলিক ভুরাজনীতির চাপে দেশ অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
দেশকে এই ঝুঁকি থেকে বাঁচাবার জন্য একটা নতুন রাজনৈতিক চুক্তির খুব প্রয়োজন।
সংবিধান সংশোধনই এই নতুন চুক্তি এবং এই চুক্তির জন্যে আন্দোলন করলে রাস্তায় মানুষকে পাওয়া যাবে।
নাগরিক ঐক্য, রংপুর জেলার সা: সম্পাদক এবিএম রহমতুল্লাহ বলেন, যে ৭২ এর সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল কারণ তখন তাদের সামনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন।সংবিধানের সংস্কারের প্রয়োজন থাকলেও আওয়ামী লীগ তাদের চতুরতার জন্য যে কোন আন্দোলনকে ভেঙে দিতে পারে।
সেজন্য লড়াইটা অনেক চিন্তা ভাবনা করে এগুতে হবে।সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রংপুর মহানগর এর সমন্বয়ক চিনু কবির বলেন, আশার কথা হচ্ছে যে সব দিকেই এখন সরকার হঠানোর একদফার দাবির সাথে সাথে সংবিধান সংস্কারের দাবিও শোনা যাচ্ছে।
এই নতুন রাজনীতিই মানুষকে রাস্তায় নামতে উদ্বুদ্ধ করবে।মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, রংপুর জেলার সদস্য, এড. রায়হান কবীর।