কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর মহিপুরে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় মোঃ আলমগীর খান (৪৫) নামে বিএনপি’র এক ওয়ার্ড কর্মীর হাতে স্থানীয় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজশিববাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে এ লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহিপুর সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিএনপি কর্মী আলমগীর ওই বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কোনো এক নারী দর্শককে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর শব্দ উচ্চারণ করে ইভটিজিং করেন।
এসময় স্থানীয় সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আল আতিক প্রতিবাদ করলে তার উপর চড়াও হন তিনি। এমনকি সাংবাদিক পরিচয় পেয়েও তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মারধরের হুমকি দেন। এগুলো ভিডিও করতে গেলে তার মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান বিএনপি’র ওই কর্মী।
তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ও অতিথিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযুক্ত আলমগীরের নামে বিগত দুই মাস আগে নিজশিবাড়িয়া মাহফিলের মাঠে চরমোনাই সমর্থক মহিবুল্লাহ মোল্লাকে লাঞ্ছিত করাসহ বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি, অসদাচরণ, মারধর ও ইভটিজিংয়ের একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি নিজশিববাড়িয়া গ্রামের মোঃ গোলাপ খানের ছেলে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি চলছিলো। পরে আমি তাদেরকে থামিয়ে দেই। তবে কি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে তা সঠিক জানি না।
মহিপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জিটিভি’র কুয়াকাটা-কলাপাড়া প্রতিনিধি মোঃ মনিরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘আতিক একজন পরিচ্ছন্ন গণমাধ্যমকর্মী। তাঁর সাথে এমন অসদাচরণ করায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এর আগেও আলমগীরের নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।