“রংপুরে বিয়ে নিয়ে তাল-বাহানা!
স্টাফ রিপোর্টার
প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে রাত্রি যাপন করেন প্রেমিকের বাসায়, কোন তথ্য প্রমাণ না থাকায় পারিবারিকভাবে দুই পরিবার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। প্রেমিকাকে বাসায় পাঠানো হবে এবং দ্রুত সমাধান করবেন বসে।
এ ঘটনার দুইদিন পর দুই ওয়ার্ড কাউন্সিল ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ এলাকাবাসী বসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও, বিয়ের দিন দেনমোহর নিয়ে ঝগড়ার অভিযোগে হয়নি বিয়ে।
কিছুদিন পর বিয়ের দাবিতে একাধিকবার ছেলের পরিবারেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও মেনে না নেওয়ায় আবারো প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে ছেলের বাসায় রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে গভীর রাতে অবস্থান নেওয়ার ঘটনা কে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উটেছে দুই পরিবারের।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন (১১) নং ওয়ার্ডে পূর্ব বিন্যাটারির প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বিয়ের দাবিতে (১০) নং ওয়ার্ড বক্তিয়ার পুরে ছেলের বাসায় বিয়ে দাবিতে রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে একাধিকবার অবস্থান নিলেও ছেলে দোষী নয় বলে দাবি মানছেন না প্রেমিকের সহ পরিবার।
ভুক্তভোগী ছেলের মা জানান, সহ পরিবার বাড়ি ও গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রভাবশালী কাউন্সিলর, যেকোনো সময় মিথ্যা মামলায় জেল হাজত দিবে অন্যদিকে রাত গভীর হলেই বিয়ের দাবিতে প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে একাধিক বার বাসায় অবস্থান নেওয়ায় আতঙ্কে এলাকাবাসী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাজিরহাট মেট্রোপলিট থানার সভাপতি আতাউর রহমান জানায়, (১০) ও (১১) নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ভুক্তভোগী দুই পরিবার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও দেনমোহর নিয়ে ঝগড়ায় হয়নি বিয়ে, যুবসমাজ আবারও উভয় পক্ষকে নিয়ে বসার পরামর্শ দিলেও সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন (১০) নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ্ মোঃ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, নতুন করে বসার আলোচনা হলেও তালবাহানা করছেন ভুক্তভোগী ছেলের পরিবার বলে মন্তব্য করেন।
(১১) নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিলন বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার আভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে তিনি এ বিষয়ে আরো বলেন ভুক্তভোগী মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করবার পর, বসার সিদ্ধান্তে তিনি একমত থাকবেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।