রংপুর নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে বুড়িরহাট প্রযর্ন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা
মাটি মামুন রংপুর।
পুর্বগেট থেকে পাকার মাথা প্রর্যন্ত পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর বৃষ্টির পানি জমে থাকছে।
অত্রএলাকার মানুষ সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি,জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।এখন বর্ষাকাল এসে বৃষ্টি হচ্ছে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে ভাঙাচোড়া সড়কে ইাঁটাচলা করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
নগরীর পুর্বগেট কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে পাকার মাথা পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব পিচ উঠে সড়কে আগেই খানাখন্দ ছিল।পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের ওপর বৃষ্টির পানি জমে সড়ক আরও বেহাল হয়ে চলাচলে ভোগান্তিও বেড়েছে। সড়কের পাশে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি ডেন্টাল ও কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ, মহানগর পুলিশের কার্যালয়সহ আবাসিক এলাকা রয়েছে।এর ফলে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর যানবাহন ও মানুষ যাতায়াত করে
কিন্তু খানাখন্দে ভরা সড়কে পানি জমে থাকায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তা টি।এটি গতকাল মঙ্গলবার ৪ জুলাই বিকালের চিত্র কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের সামন থেকে পাকার মাথা পর্যন্ত সড়কের পুরোটাই বেহাল।পাকার মাথা এলাকায় সড়কে পানি জমে আছে সেখানে হেঁটে চলাচল করাও মুশকিল পানি সরে নালায় গিয়ে যে পড়বে, এমন কোনো ব্যবস্থাও নেই।পাকার মাথা এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আজগর হোসেন বলেন, দুই বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে পানি জমে চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে।সড়ক বেহাল শুকনা মৌসুমে খানাখন্দ দেখে দেখে পার হওয়া যায় কিন্তু বৃষ্টিবাদলের দিনে খুব দুর্ভোগ হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান তিনি।রংপুর মেডিকেল পূর্বগেট এলাকায় বেসরকারি দুটি মেডিকেল কলেজ–কমিউনিটি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ অবস্থিত।প্রতিষ্ঠান দুটির সামনের সড়ক খানাখন্দে ভরা রাস্তার কর্পেটিং উঠে ছোট-বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পায়ে হাঁটাও কষ্টকর ব্যাপার অটোরিকশা হেলেদুলে চলাচল করছে সড়কে গাড়ি চলাচল করলে পানি ছিটকে পথচারীদের গায়ে এসে পড়ে, কাপড় নষ্ট হয়।
এমনকি সড়কের পাশের দোকানেও পানি ছিটকে এই এলাকা সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন সেখানকার কাউন্সিলর মাহামুদুর রহমান টিটু বলেন,সড়কটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের।সিটির করপোরেশনের পক্ষ থেকে সড়কটি মেরামত
করার জন্য বহুবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু দুই বছরের অধিক সময় ধরে তারা কাজ করছে না। এতে এলাকার লোকজন সিটি করপোরেশনকেই দোষারাপ করছেন।
এ সম্পর্কে সওজের রংপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন,নগরের বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে বুড়িহাট যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সওজের অধীন।এর মধ্যে ওই বেহাল আধা কিলোমিটার সড়কও রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে বুড়িহাট সড়কের কদমতলা এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ২১ কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়ে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই কাজটি করা যাবে।সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সড়কটির এমন দুরবস্থার জন্য আমাকেই শুনতে হচ্ছে অনেক কথা। সড়কটি যে সওজের, তা জনগণ তো বুঝতে চায় না। তাই আমিও দাবি জানাই, সড়কটি যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা হোক।