শার্শায় প্রথম বারের মতো শুরু হয়েছে মিষ্টি মরিচের চাষ : লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মানিক রাজা
জসিম উদ্দিন, বেনাপোল (যশোর):
এই প্রথম লাঠি মরিচ বা সিমলা মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন যশোরের শার্শা উপজেলার আবু সাঈদ ওরফে (মানিক রাজা) নামে এক যুবক। মাত্র ৭ দশমিক ১২ শতাংশ জমিতে এই মরিচ চাষ করে এলাকায় চমক দেখিয়েছেন তিনি। কাংখিত ফলন ও অধিক দাম হওয়ায় আগামীতে এই মরিচ আরো অধিক জমিতে চাষ করবেন বলে আশা করছেন এই যুবক।
দেখতে মরিচ মনে হলেও খেতে মোটেও ঝাল নেই এই মরিচে। বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের মত এই মরিচ সবজি হিসাবে বা সালাদ করে খাওয়ার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। দেশের কোথাও কোথাও এই সবজি জাতীয় মরিচ মিষ্টি মরিচ নামেও পরিচিত। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই লাঠি মরিচ বা সিমলা জাতের মরিচের চাষ বেশি হওয়ায় সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করেন মানিকা রাজা। দেশীয় আবহাওয়া প্রথম বারের মতো বীজ থেকে চারা তৈরি করে সফলও হয়েছেন তিনি। আজ তার ক্ষেতের প্রতিটি গাছে ঝুলে আছে বড় বড় সাইজের মিষ্টি মরিচ।
মরিচ চাষি মানিক রাজা বলেন, সাধারণ মরিচের চেয়ে এই মরিচ আকারে বড় এবং স্বাস্থ্যবান হয়। বড় বড় রেষ্টুরেন্টে এই মিষ্টি মরিচ বা লাঠি মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আগামীতে বৃহৎ পরিসরে এই মরিচের আবাদ বৃদ্ধি করার চিন্তাভাবনা আছে। উৎপাদন ভাল এবং বাজারে এর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই উদ্যোগক্তা।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল বলেন,
দেশীয় আবহাওয়ায় শার্শা উপজেলার মাটিতে এই প্রথম বারের মতো ক্যাপসিকামের পরেই চাষ হচ্ছে মিষ্টি মরিচ বা সিমলা জাতের মরিচের। আগামীতে বিস্তর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের শীর্ষ কর্মকর্তা।
শুধু বিদেশের মাটিতে নয় দেশের মাটিতেই ফলবে লাঠি মরিচ বা মিষ্টি মরিচের মতো বিভিন্ন জাতের বিদেশি সবজি। এমনটাই মনে করেন উপজেলার সচেতন চাষিরা।