শুরু হয়নি সরকারি কর্মকমিশন পুনর্গঠনের কাজ
আলী আহসান,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট:
০১ অক্টোবর ২০২৪,
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে প্রায় দুই মাস ক্ষমতা গ্রহণের পরে শুরু হয়নি বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন পুনর্গঠনের কাজ। সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) দাপটে চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া জনতার মঞ্চের নেতাদের এখনো বাতিল করা হয়নি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত প্রশাসনে কর্মরতদের রদবদল চলছে। ঢেলে সাজানোর এ প্রক্রিয়ার পুরোটাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে করতে হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের উচ্চস্তর থেকে একেবারে নিচের স্তরের সব কর্মকর্তা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের দম ফেলার ফুরসতটুকুও নেই। এমন অবস্থায় পিএসসি নিয়ে এখনো আলোচনা বা করণীয় তা ঠিক করতে পারেনি মন্ত্রণালয়।
পতিত শেখ হাসিনার প্রহসনের নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনসহ সদস্যরা। ১৯৯৬ সালের জনতার মঞ্চেও ছিলেন। এই আমলাদের দাপট এখনো কমেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করে তাবেদাবি করেন তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে পিএসসিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইনের চার বছর পূর্ণ হয়েছে। আরও এক বছর বাকি রয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান বর্তমানে যারা পিএসসিতে আছেন তারা সকলে জনতা মঞ্চের কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন স্বীকার করতে রাজি হননি। পিএসসিতে স্থবিরতার কোনো সুযোগ নেই। এটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কাজ থাকে। বিভিন্ন কাজে প্রতিদিনই চেয়ারম্যান অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত লাগে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগকৃত ‘সোহরাব কমিশন’ যে কোনো সময় বিদায় নিতে পারে। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা কেলেঙ্কারিতে নিয়োগ প্রার্থীদের আস্থার সংকটে থাকা সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানে জোরেশোরে সংস্কারের দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের অপসারণ ও পিএসসি পুনর্গঠনের দাবিতে পিএসসির সামনে গত রোববার বিক্ষোভ করেছেন করেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। এসময় তারা পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেনসহ সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধনও করেন। রোববার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন ৪১তম বিসিএসের ননক্যাডার প্যানেলপ্রত্যাশী, ৪৩তম বিসিএসের ননক্যাডার (লিস্টপ্রত্যাশী) বাংলাদেশ রেলওয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী পদের চাকরিপ্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। এর আগে গত ১৫ বছর যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তার্ওা একইভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও থেকেই পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এর পর থেকে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন ও কমিশনের সদস্যরা দেশের বাহিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও তা সুযোগ নিতে পারেনি। তবে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
বিষয়টি জানিয়ে সরকারে উচ্চপর্যায়ে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও এখনো কোনো নির্দেশনা না আসায় এখনো পদত্যাগ করেননি তারা। এমনকি দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন কি না সে বিষয়েও সুস্পষ্ট কোনো কিছু জানানো হয়নি সরকারে পক্ষ থেকে। পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। পিএসসিতে বিদায়ের সুর বাজছে–এটি তিনি স্বীকার করে নিলেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু বললেন, সরকার এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য যা ভাল মনে করবে, তা হবে।
পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, সরকার পতনের পর সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ধরেই নিয়েছেন যে, তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু তাদের প্রেসিডেন্টর সরাসরি নিয়োগ দিয়ে থাকেন, সেজন্য তারা পদত্যাগ না করে সরকারের নির্দেশনার দিকে চেয়ে আছেন। অনেকে নিয়মিত অফিসও করছেন না।গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি অফিস করা হচ্ছে। পিএসসি চেয়ারম্যানসহ তিন/চারজন সদস্য অফিসে আসলেও ৪১-৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের প্রার্থীদের আন্দোলনের কারণে তারাও অনিয়মিত হয়ে গেছেন। তবু ভিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন অনেকে।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগদানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিএসসি দীর্ঘদিন ধরে দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পিএসসির অধীনে বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের প্রায় ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকি সর্বশেষ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পিএসসির নিজস্ব তদন্তে প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে সম্প্রতি জানানো হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন পিএসসির যুগ্ম সচিব আবদুল আলীম খান।
কমিটির সদস্য ছিলেন পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা। আর তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক। বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপপরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধী তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। কমিশন পুনর্গঠনে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে– চেয়ারম্যান ও সদস্যদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা। পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চেয়ারম্যান ও অন্য সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। অন্তর্বতীকালীন সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই রয়েছেন। এখনো সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপদেষ্টার দেখা করতে পারেনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইনকিলাবকে জানান,উপদেষ্টা নিয়োগ হয়েছে। শিগগিরই সরকারি কর্মকমিশন পুনর্গঠন করা হবে। গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ দিয়ে কমিশনে স্থান পাবেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মো. সোহরাব হোসাইন বর্তমানে পিএসসির চেয়ারম্যান। গত ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মো. সোহরাব হোসাইন সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। তার আগে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আমলে তিনি এক বিসিএস শেষ করতে সর্বাধিক সময়ের রেকর্ড করেছেন। ছাত্রলীগ নেতাদের বেচে বেচে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করেছেন। এছাড় ৪১তম বিসিএসের নিয়োগ কার্যক্রমে ৫ বছরেরও বেশি সময় লাগে। নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ নিয়ে তার কমিশনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগে চাকরিপ্রাথীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন।
পিএসসি সদস্যদের মধ্যে এস. এম. গোলাম ফারুক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। আরেক সদস্য ফয়েজ আহম্মদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দায়িত্বও পালনের সময় বিএপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সেই সময়ের সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রীকে সরকারি সার্কিট হাউজ বরাদ্দ বাতিল করে দিয়েছিলেন।
এবং হাসিনা সরকারের আমলে একটার পর একটা পদোন্নতি নিয়ে বর্তমানে পিএসসির সদস্য পদে আছেন। এছাড়া ওই সময় যে চট্টগ্রাম জেলায় সহকারি কমিশনার খালেদা জিয়ার জন্য সার্কিট হাউজ বরাদ্দের চিঠি দিয়েছিলেন সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা ও ডিসি রাজশাহী থেকে এক বছরের মাথায় প্রত্যাহার করে সাবেক জনপ্রশাসন ফয়েজ। সদস্য ভারপ্রাপ্ত সচিব ছিলেন এন সিদ্দিকা খানম। বাকি সমস্যদের মধ্যে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) ছিলেন জাহিদুর রশিদ,
ঢাবির আওয়ামীপন্থি নীল দলের সমর্থক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুবিনা খোন্দকার ও অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। অধ্যাপক দেলোয়ার গত বছর আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হয়েছিলেন। সাংবিধানিক পদে থেকেও দেলোয়ার হোসেনের রাজনৈতিক দলের কমিটির সদস্য হওয়া নিয়ে আলোচনা হলে পরে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কমিশনের অপর সদস্য কে এম আলী আজম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। আরেক সদস্য মো. খলিলুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ছিলেন। অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। কমিশনের আরেক সদস্য মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, হেলালুদ্দিন আহমদ স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মোহা. শফিকুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৪তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। এছাড়াও কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক, রাবি ক্যাম্পাসে আওয়ামীপন্থি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত মুখ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে কার্যত স্থবির বাংলাদেশ পিএসসি। ভয়-শঙ্কায় অধিকাংশ সদস্য অফিস করছেন না। কর্মকর্তাদের মধ্যেও চাপা ‘আতঙ্ক’। যার প্রভাব পড়ছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ-কর্মে। তিনটি বিসিএসসহ একের পর এক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হচ্ছে। অনেকটা বাধ্য হয়ে নন-ক্যাডার ও জনপ্রশাসনের অধীনে পদোন্নতির জন্য বিভাগীয় পরীক্ষাগুলোও স্থগিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। পিএসসিতে সৃষ্ট এমন অচলাবস্থায় বেকায়দায় পড়েছেন কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থী। নিয়োগ পরীক্ষায় স্থবিরতা চাকরিপ্রার্থী বেকারদের জন্য আরও বড় দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে। আসন্ন ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে প্রকাশ করা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। খোদ পিএসসির কর্মকর্তারাই এ নিয়ে ‘অন্ধকারে’।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা পিএসসির নিয়মিত কাজের অংশ। গত কয়েক বছর ধরে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে (স্পষ্ট করে বললে ৩০ নভেম্বর) নিয়ম করে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। এবারও তেমন পরিকল্পনা নিয়েছিল পিএসসি। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার যথাসময়ে (৩০ নভেম্বর) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা খুবই কম। পিএসসির একজন সদস্য ও একজন যুগ্মসচিব নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, স্থবিরতার প্রভাব পড়ছে সব কাজেই। এভাবে চলতে থাকলে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিও পিছিয়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের জায়গা থেকে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা আছে। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো অবগত করে থাকি। সেখান থেকে এখনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। যথাসময়ে চাহিদাপত্র পেলে বিজ্ঞপ্তিও ঠিক সময়ে দেওয়া যাবে। আর চাহিদাপত্র পেতে দেরি হলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও পিছিয়ে যেতে পারে।