শাহীন আলম, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ঃ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের চুপড়ীয়া সোনার বাংলা মাধ্যমকি বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ৬জানুয়ারী—২৩ চুপুড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অর্জুন সরদার স্কুলের মাঠ ভরাটের জন্য চুপড়ীয়া গ্রামের শামছুদ্দীন গাজীর পুত্র শাহীন গাজীকে কন্ট্রাক্ট দেয়। উক্ত শাহীন গাজী মাটি বহনের জন্য মাধবকাটি
এলাকার জুয়েল পারভেজের ডাম্পার গাড়ী ভাড়া করে। যা গাড়ী প্রতি ১১শত ৩৫ টাকা করে চুক্তি করেন বলে জানান জুয়েল পারভেজ। তিনি আরও বলেন, মাটি ভরাট করার আগে শাহীন গাজীকে হিসাবের বাইরে ২০হাজার টাকা দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করি। কিন্তু মাটি বহনকালে শাহীন গাজী
১১শত ৩৫ টাকার পরিবর্তে জুয়েল পারভেজকে ১হাজার টাকা করে দিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি। সেই হিসেবে জুয়েল পারভেজের বহন করা ৩৭০ গাড়ীর জন্য ৩৭হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এখানে প্রায় ৫০হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ কাজে শাহীন গাজী
ব্যক্তিগত ভাবে আনুঃ ১৫০ গাড়ী মাটি বহন করে বলে জানাগেছে। মাঠ ভরাটের জন্য সর্বমোট আনুঃ ৫২০গাড়ী মাটি বহন করলেও বিদ্যালয়ের সভাপতি অর্জুন সরদার ৬৮০গাড়ীর মাটির দাম হিসাব করে ৭লাখ ৭১ হাজার ৮শত টাকা দিয়েছেন বলে হিসাব করা হচ্ছে। কিন্তু বাকী ১৬০গাড়ীর মাটির দাম ১লাখ ৮১হাজার ৬শতক টাকা অর্জুন সরদার ও শাহীন
গাজী গোপন যোগসাযোসের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবী করছেন এলাকাবাসী। এদিকে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান, মাধবকাটি বাজার কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা আমিরুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি এ
প্রতিবেদককে জানান, অত্র প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সভাপতি অর্জুন সরদার, প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান, সদস্য রেজাউল মাস্টার, আরিজুল ইসলাম (লান্টু), মাটির কন্ট্রাক্টর শাহীন গাজী গোপন যোগসাযোগস করে উক্ত মোটা অংকের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটয়ারা করে নিয়েছে।
তারা আরও জানান, ইতিপূর্বে স্কুল পরিবচালনা কমিটি অত্র বিদ্যালয়ে আয়া, মালি, ঝাড়–দার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বানিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। উক্ত অর্থ থেকে স্কুল ফান্ডে আনুঃ ৪৪লাখ টাকা রাখা হয়েছিলো বলে জানান তারা। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য উক্ত টাকা ব্যায় করা হচ্ছে বলে ধারনা তাদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমানের কাছে মাঠ ভরাটের বাজেট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এদিকে এ বিষয়ে সভাপতি অর্জুন সরদারের কাছে জানতে চাইলে ফান্ডের কথাটি এড়িয়ে গিয়ে মাটি ভরাটের জন্য ৭লাখ ৭১ হাজার ৮শত টাকা মাটির কন্ট্রাক্টর শাহীন গাজীকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এমতাবস্থায় উক্ত মাটির কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূণীতির বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।