সৈকত মন্ডল, স্টাফ রিপোর্টার:
অবশেষে ফকিরহাটে সরকারী গাছ কাটানিয়ে সড়ক বিভাগের কার্য পরিদর্শক মোঃ রাজু আহম্মেদ জোয়াদ্দার গাছ কাটার ৪৯ দিন পর বৃহস্পতিবার ফকিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত ২৪ জানুয়ারী বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এই খবর প্রকাশের পর ২৬ জানুয়ারী সড়ক বিভাগ ফকিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।বাগেরহাট সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, ২৫ জানুয়ারী জেলা
মোঃ রাজু আহম্মেদ জোয়াদ্দার ফকিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এবং ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জব্দ করা ছোটবড় ৭ পিচ লক সড়ক বিভাগের অফিসে আনার নির্দেশ দিয়েছি।
এবিষয় সড়ক বিভাগের কার্য পরিদর্শক মোঃ রাজু আহম্মেদ জোয়াদ্দার বলেন নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে ফকিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি । আর ছোট বড় ৭ পিচ গাছের লক সড়ক বিভাগে আনা হয়েছে।
ফকিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মু. আলীমুজ্জামান জানান, সড়কের গাছ কাটার একটা অভিযোগ পেয়েছি আমি এতোমধ্যেই বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমার একজন অফিসার কে বলেছি । তদন্ত শেষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য এর আগেও এ এলাকা থেকে একটি সরকারী গাছ এরকম করে কর্তন করা হয়। সেটিও পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জিম্মায় রাখা হয়েছিল আজ পর্যন্ত সে গাছের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস বলেন, ফকিরহাটের বিভিন্ন সড়ক বিশেষ করে সড়ক বিভাগ সহ বিভিন্ন সরকারী গাছ অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে কাটা হচ্ছে । এসব বিষয় উপজেলা পরিষদ জ্ঞাত নই আমাকে জানানো হয়নি। তবে অনিয়মতান্ত্রিক গাছ কাটা হচ্ছে
এটা প্রশাসনিক কোন বিষয় নয় এটা সড়ক বিভাগের যারা এটা নিয়ন্ত্রন করে তাদের জবাব দিহিতা করতে হবে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই ফকিরহাটে বেশ কিছুদিন যাবত অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে অসচ্ছ ভাবে রাস্তার
গাছগুলি লোপাট হচ্ছে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া উচিত, কারা এটা করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মুলক সাস্তি হওয়া উচিত। এর সাথে প্রশাসনের লোক, সড়ক বিভাগের লোক আর ঐ সব অসাধু ব্যাবসায়ী হোক যারা রাতের অন্ধকারে প্রশাসন বা সড়ক বিভাগের সাথে যোগ শাযোসে এধরনের কাজ করে থাকে তাদের সাস্তির আওতায় আনা উচিত।
উল্লেখ্য, গত ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ২০২২তারিখ সরকারী ছুটিরদিন থাকায় ফকিরহাট দিয়াবাড়ী রোডের জোড়া কবর ব্রাক অফিসের সামনের রাস্তার পাশে থেকে ৬ টি সরকারী মূল্যবান গাছ কেটে নিয়েছে গাছ খেকোরা। স্থানিয় দোকানীরা জানান, উৎকুল এলাকার বেল্লাল নামে এক লেবার সর্দার ১০/১৫ জন লেবার নিয়ে এই গাছ গুলি কেটেছে।
কার কথায় গাছ কাটছে স্থানীয়রা জানতে চাইলে লেবাররা বলেছে নাজু ভাই টিএনও স্যাারের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটছে এ শুনে স্থানিয়রা ঝিমিয়ে যান। শুক্রবার ও শনিবার সরকারী ছুটি থাকার সুজোগে গাছ খেকোরা শুক্রবার সকাল থেকে গাছ কাটা শুরু করে ।
শনিবার বিকালের মধ্যে ৪ টি গাছ নিয়ে যায় গাছ খেকোরা। শনিবার বিকালে বাগেরহাট সড়ক বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ঘটনা স্থলে গিয়ে গাছ কাটা দেখে সড়কের নির্বাহী প্রকৌশলী কে মুঠোফোনে জানালে রাতে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনোয়ার
হোসেন পুলিশ দিয়ে দুটি গাছের ৭ পিচ (লক) তার হেফাজতে নিয়ে নেয়। এদিকে বাকী ৪ টি গাছ কোথায় আছে তার খোজ কেউ করেনি বলে জানান এলাকাবাসী। এলাকা বাসী আরো জানান, দুই দিন দিনের আলোতে ১০/১৫ জন লোক প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে ৬টি গাছ কেটেছে প্রশাসন কিছুই জানেনা ? গাছকাটা
শেষ হলে রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশ দিয়ে দুটি গাছ হেফাজতে নিয়েছেন। বাকী ৪ টি গাছের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে কি যেন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। কে যেন কাউকে বাঁচানোর চেষ্ঠা করছে। প্রশাসনের কোন এক অশুভ শক্তির কারনে গাছ খেকোরা বেঁচে যাচ্ছে বারবার। #