প্রকল্প পরিদর্শনে আসা প্রধান উপদেষ্টার কায্যালয়ের সচিব সাইফুল্লাহ পান্না, প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামানের গাড়ী বহর আটকে দিয়ে মুল্য পরিশোধের দাবীতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
জানাগেছে, শনিবার সকাল ১০টায় আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আসলে ভুক্তভোগী চার শতাধিক পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে দ্রুততম সময়ে সম্যস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিলে গাড়ী বহর ছেড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
এসময় তাদের সাথে সফরসংগী ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো.কাউসার, জেল প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার’র প্রকল্প পরিচালক, ডিজেল পাওয়ার প্লান্টের পরিচালক, এম এম বিল্ডাসের চেয়ারম্যান সহ জেলার উর্ধতন কর্মকর্তারা।
ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামানের ছবিতে আঅগ্নিসংযোগ করে। বসতঘরের মূল্য পরিশোধ এবং প্রকল্প পরিচালকের পদত্যাগের দাবীতে নানা শ্লোগান দেয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আল-মামুন, সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ তালুকদার, আনাসার উদ্দিন মোল্লা, আসাদুজ্জামান আলমগীর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হলেন চার শতাধিক পরিবারের বসতঘরের মুল্য পরিশোধ করেনি আশুগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট এবং এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং।নানা অযুহাতে সময়ক্ষেপণ সহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। দ্রুত ন্যয্য পাওনা পরিশোধের দাবী জানিয়ে বক্তারা বলেন, তাদের দাবী আদায় না হওয়া পযন্ত প্রকল্প এলাকায় কোন কাজ চলমান থাকতে পারেনা।
বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামান বাতিল প্রকল্পে ইতোমধ্যে ৮’শ কোটি টাকা ব্যয়ের নামে লুটপাট করেছেন। অথচ ভুক্তভোগী পরিবারের বসতঘরের টাকা দিচ্ছেন না। বরং প্রশাসন সহ স্থানীয় দালালদের ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের হয়রানি করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রবিউল ইসলাম বলেন,স্থানীয় ভুক্তভোগীরা আমাদের কাছে এসেছিল। তাদেরকে বলেছি আপনারা আমার কাছে আসবেন। আপনাদের কথা আমি শুনবো। এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যৌক্তিক দাবি গুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।