ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ঘুষ ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ বিধবার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
এক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ঘুষ ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক বিধবা নারী।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য লতিফ মোড়লের বিরুদ্ধে ঐ ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা বিধবা রুবিনা বেগম ঘুষ ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ দিয়েছেন।
গত ২৭ মার্চের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউপি সদস্য লতিফ মোড়ল ও অভিযোগকারী রুবিনা বেগমকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলেন। লতিফ মোড়ল ও রুবিনা বেগম উপস্থিত হলে দুইজন স্বাক্ষী লতিফ মোড়লের বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করার স্বাক্ষী দেন।
স্বাক্ষগ্রহণ শেষে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ঢালীকে আগামি তিন দিনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত তদন্ত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চেয়ারম্যানকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
অভিযোগকারী রুবিনা বেগম বলেন, আমার নামে একটি বিধবা কার্ড ছিল। মা মারা গেছেন। আমার স্বামী না থাকায় সেই কার্ডটি আমার নামে করে দেওয়ার কথা বলে মেম্বার লতিফ মোড়ল আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। কার্ড না দেওয়ায় আমি টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি উপযুক্ত বিচার পেতে ইউওনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য লতিফ মোড়ল বলেন, সেলিম নামে এক লোকের সাথে রুবিনার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমি বাঁধা দেওয়ার কারণে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে সে।
মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ঢালী বলেন, আমি আজকেই ঢাকা থেকে ফিরছি। এখনও কোনো নির্দেশনা পাই নি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্র কাজটি সম্পন্ন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর জানিয়ে দেব।