সত্যকণ্ঠ
  • Login
  • সারাবাংলা
  • ফিচার
  • দেশ
  • জাতীয়
  • ক্রাইম
  • জানা-অজানা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রযুক্তি
  • ইসলাম কথা
  • বিশেষ সংবাদ
  • বাণিজ্য
No Result
View All Result
  • সারাবাংলা
  • ফিচার
  • দেশ
  • জাতীয়
  • ক্রাইম
  • জানা-অজানা
  • আন্তর্জাতিক
  • প্রযুক্তি
  • ইসলাম কথা
  • বিশেষ সংবাদ
  • বাণিজ্য
No Result
View All Result
সত্যকণ্ঠ
No Result
View All Result
Home সারাবাংলা

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের চলছে কঠিন জীবন-যাপন

প্রকাশক by প্রকাশক
January 23, 2023
in সারাবাংলা
0
ইমাম-মুয়াজ্জিনদের চলছে কঠিন জীবন-যাপন
0
SHARES
8
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

সাব্বির আলম বাবু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ


ভোলায় অবস্থানকারী ইমাম-মুয়াজ্জিনরা বর্তমানে কঠিন জীবন- সরকারি হিসাবে দেশে ১৯ হাজার ১৯৯টি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। বাস্তবে সংখ্যাটা হয়তো আরও একটু বেশি। সমাজের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী এসব

মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা সম্পন্নকারীরা সাধারণত তিনটি কাজকে (কওমি সংশ্লিষ্টরা এসবকে ‘খেদমত’ আখ্যায়িত করেন) পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তা হলো—ইমামতি, আজান দেওয়া ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা।

তবে সত্য হলো- তারা ইমামতি, আজান দেওয়া ও শিক্ষকতাকে যতটা না পেশা হিসেবে দেখেন তার চেয়ে এগুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন দ্বীনের খেদমত মনে করে। তারা নিজেদের ইসলামের একেকজন একনিষ্ঠ খাদেম তথা সেবক মনে করেন।

কেননা হাদিস শরিফে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও শিক্ষকের মর্যাদা সম্পর্কে অসংখ্য ফজিলত ও পুরস্কারের কথা বর্ণিত রয়েছে। কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেমরা নিজেদের যে ইসলামের খাদেম মনে করেন, তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হলো– তাদের সাদাসিধে জীবনযাপন।

মাদ্রাসা-মসজিদ থেকে যে হাদিয়া ও বেতন পান তা দিয়েই কোনোমতে সাধারণভাবে জীবন কাটিয়ে দেওয়াকে নিরাপদ মনে করেন। সারাদেশের এই বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের অতিসাধারণ জীবনযাপনের মধ্য দিয়েই। এজন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, জৌলুসপূর্ণ অনেক মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাদের নিজেদের বাড়িও থাকে টিনের তৈরি ও ভাঙাচোরা।

যদিও সমাজ তাদের এই বিরাট আত্মত্যাগ ও কোরবানির স্বীকৃতি দেয়। তারপরও সমাজের উচিৎ তাদের জীবনমান উন্নতিতে আরও মনোযোগ দেওয়া। তারা কী খান, কী পরিধান করেন, সন্তানদের পড়াশোনা করান কীভাবে—এসব যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব সমাজের।

কারণ অধিকাংশ মানুষ যখন স্বাচ্ছন্দ্য জীবনের সন্ধানে পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছেন, তখন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা নিজেদের মসজিদে আবদ্ধ রেখে সমাজের মানুষের ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করে চলেছেন এবং তাদের সন্তানদেরকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়োজিত রয়েছেন ওই শিক্ষকরাই।

এককথায় বলা যায়, সমাজের সর্বস্তরের মুসলমান ইমাম, মুয়াজ্জিন ও শিক্ষকদের কাছে চিরঋণী। কিন্তু সত্য কথা হলো, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট অল্পেতুষ্ট এই মানুষেরা বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দাকালে তেমন ভালো নেই। যখন মোটামুটি অর্থশালী মানুষেরাই পরিবার নিয়ে জীবন পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন,

তখন ইমাম, মুয়াজ্জিন ও শিক্ষকদের অল্প বেতনে জীবনযাপন করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আত্মসম্মান, মর্যাদা ও পরকালীন জীবনের প্রতিদান প্রাপ্তির আশায় তারা এখনও ধৈর্যধারণ করে আছেন, যেভাবে নানা সঙ্কটে ইসলামের জন্য ধৈর্য ধরেছেন তাদের

পূর্বপুরুষেরা। বর্তমানে সঙ্কটকালে তারা কেমন আছেন—সেটি জানতে কথা হয় মসজিদ-মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন আলেমের সঙ্গে। তাদের একজন মুফতি আবু তালহা। তিনি জেলার বাটামারার একটি মসজিদে প্রায় এক বছর যাবত ইমামতি করছেন।

তিনি বললেন, ‘সাধারণত একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ তার যোগ্যতা অনুসারে যে চাকরিই করেন না কেন, ওই চাকরি থেকে পাওয়া বেতনে খুব সুন্দরভাবে তিনি সংসার চালাতে পারেন। কিন্তু আমাদের জন্য সেটি সম্ভব হয় না। কারণ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়ে আমি ৮ হাজার টাকা হাদিয়া পাই, তা দিয়ে পরিবার

নিয়ে সংসার চালানো যায় কিনা আপনিও জানেন।’ মুফতি আবু তালহা কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা স্তর দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমান) সম্পন্ন করেছেন। এরপর হাদিস ও ইসলামি ফিকহে নিয়েছেন আরও দুইটি উচ্চতর ডিগ্রি। তিনি একটু স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি পাশেই একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

একজন মানুষের জন্য ইমামতির সঙ্গে সঙ্গে আবার শিক্ষকতা করা কতটা কঠিন, তা তার কথাতেই স্পষ্ট ফুটে উঠল। ভোলা সদর শহরের অদূরে অবস্থিত বড় একটি মসজিদ। নাম বাইতুল হাসান। ওই মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব পালন করছেন মুফতি আবু রায়হান। তার বেতন ১০ হাজার টাকা।

তিনিও পাশেই আরেকটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন, যাতে নিজের সংসারটা একটু স্বাচ্ছন্দ্যে চলে তাই এই কষ্ট মেনে নেওয়া তার। তবে জানা গেছে, ঢাকায় থেকে মুফতি আবু রায়হানের অনেক বন্ধু তার এই চাকরিটাকে খুব ভালো খেদমত মনে করেন।

অনেকের ভাবনায়, তারা যদি এমন চাকরি পেতেন, তাহলে তাদের জীবনটা আরেকটু সচ্ছল হতে পারত। চরফ্যাশনে অবস্থিত বায়তুল মামুর জামে মসজিদ। ওই মসজিদের ইমাম মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ। এলাকাটিতে গ্রামের ছোঁয়া থাকায়, এখানে শহরের তুলনায় জীবনযাপনের ব্যয় কিছুটা সহনীয়।

তবে মসজিদ থেকে যে ৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়, তা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার চালাতে মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহও নিরুপায়। তিনি জানালেন, সচ্ছলতার জন্য তিনি আলাদাভাবে বাচ্চাদের পড়ান। সেখান থেকে ও মসজিদ থেকে যা পান, তা দিয়ে দুই সন্তান, স্ত্রী ও মা-বাবাসহ সংসার চালাতে হয় তার। লালমোহনের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ।

ওই মাদ্রাসায় তার মতো শিক্ষকদের বেতন ১০ হাজার টাকার আশপাশে। মাওলানা ওবায়দুল্লাহ শিক্ষকতার পাশাপাশি বাইরে টিউশনি করেন। তবে জীবনটা আরেকটু স্বস্তির ও সচ্ছল হলে ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি। এগুলো শহরের চিত্র।

গ্রামে ইমাম-খতিবরা যেন আরও কঠিন পরিস্থিতির শিকার। মাওলানা দাউদ খান। তিনি ওই উপজেলার কোন্দারদিয়া গ্রামের ‘মেম্বরবাড়ি জামে মসজিদের খতিব। গ্রামের যে কয়েকটা মসজিদ সুন্দর হিসেবে নামকরা, তার মধ্যে এটি অন্যতম। মাসে চারটি জুমার নামাজ পড়িয়ে মাওলানা দাউদ খান হাদিয়া পান দেড় হাজার টাকা।

তিনি বলেন, এদিয়ে কিভাবে বর্তমানে একটি পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব অথচ মুসলিম সমাজে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উচ্চতর মর্যাদা দেয়া হয়েছে। কোন মুসলমান মারা গেলে তার দাফন কাফন ও জানাযায় আগে ডাক পরে ইমামদের। কিন্ত তাদের পেটে যে খাবার নেই সেই খবর কেউ রাখে না। সবাই নিজেদের প্রয়োজনে তাদেরকে ব্যহার করে। এটা দুঃখজনক।

Previous Post

বিশ বছর পর বাঘারপাড়ার ওয়াদীপুর আলিম মাদরাসর বেতন অনুমোদন হওয়ায় দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

Next Post

ভোলার মেয়ে রিসাত জাহান আভার আর্ন্তজার্তিক পুরস্কার প্রাপ্তি

প্রকাশক

প্রকাশক

Next Post
ভোলার মেয়ে রিসাত জাহান আভার আর্ন্তজার্তিক পুরস্কার প্রাপ্তি

ভোলার মেয়ে রিসাত জাহান আভার আর্ন্তজার্তিক পুরস্কার প্রাপ্তি

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent News

  • ডিসিপ্লিন মেনে চললে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    ডিসিপ্লিন মেনে চললে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট উভয়ই [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে নেপাল এম্বাসেডরের সাক্ষাৎ
    মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে নেপাল এম্বাসেডরের [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • তোমাদের কাজের জগৎটা তোমাদেরকে অনেক বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করে-উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ
    তোমাদের কাজের জগৎটা তোমাদেরকে অনেক বড় জায়গায় নিয়ে [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • গরুর দেশীয় জাত হারানোর বিনিময়ে আধুনিক জাত দরকার নাই-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
    গরুর দেশীয় জাত হারানোর বিনিময়ে আধুনিক জাত দরকার [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • মিশরের সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    মিশরের সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • চিকিৎসা সেবার পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    চিকিৎসা সেবার পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর- [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
  • কাপ্তাই লেক দেশের সম্পদ, এটাকে রক্ষা করতে হবে-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
    কাপ্তাই লেক দেশের সম্পদ, এটাকে রক্ষা করতে হবে-মৎস্য ও [আরও বিস্তারিত পড়ুন]
No Result
View All Result

বিশ্বাস ভিলা, নারিকেল বাড়িয়া, বাঘাড়পাড়া, যশোর-৭৪৭০
কপিরাইট © ২০২৩ satyakantho.com দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত, এ ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
Logo

উপদেষ্টা মন্ডলী : সম্পাদক:মুহাম্মাদ বিলাল হুসাইন,(এলএলবি শেষ পর্ব) ) নির্বাহী সম্পাদক:শামীমা আক্তার, বার্তা সম্পাদক:আবরার খান, নির্বাহী বার্তা সম্পাদক: মোঃ শাহিন কাদির।,

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বিশ্বাস ভিলা,সোনালী ব্যাংক রোড (বালিকা বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে )নারিকেলবাড়িয়া বাজার,বাঘারপাড়া, যশোর-৭৪৭০ মোবাইল:০১৬০০৩১০২৯১__০১৫৬৮৬৮৬৫৫৩__০১৮১৮৮৮৪১৪০ Email:satyakantho2022@gmail

কপিরাইট © ২০২৩ satyakantho.com দ্বারা সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত, এ ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি

All Rights Reserved © 20223 _ www.satyakantho.com