চট্টগ্রামের বাঁশখালীর প্রবেশ ধার পুকুরিয়া ইউপির চাঁদপুর চৌমুহনী থেকে তালগাঁও সংযোগ (রামপুর ডিসি) সড়কে জনদূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে নিজস্ব অর্থায়নে সড়কে ইট-বালি দিয়ে রিফিয়ারিং শুরু করলো আওয়ামী নেতা মাহবুব আলী খান ।উপজেলার চাঁদপুর থেকে তালগাঁও সংযোগ (রামপুর ডিসি) সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়,এতে জন দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এরই মধ্যে সড়কটি সংস্কারের জন্যে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার টেন্ডার হলেও কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে সেটা সবারই অজানা।তাই জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (এমপি)’র নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে আপাতত চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও জন দূর্ভোগ রোধ কল্পে ইট-বালি দিয়ে সড়কে সৃষ্ট গর্ত ভরাট কাজ শুরু করেন মাহবুব আলী খান ।এবিষয়ে পুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান বলেন,
আমি ব্যবসায়িক কাজে চট্টগ্রাম শহরে থাকি,কিন্তু প্রতি সাপ্তাহ /১০ দিনের মাথায় বাড়ীতে আসি,এরই মধ্যে চাঁদপুর -তালগাঁও সংযোগ(রামপুর ডিসি)সড়কের নাজুক পরিস্থিতির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।সাম্প্রতিক টানা বর্ষনে সড়কটির অচলাবস্থা হয়ে গেছে,চাঁদপুর সাতকানিয়ার তালগাঁও, তুলাতলীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম হচ্ছে রামপুর (ডিসি সড়ক)।এছাড়াও নাটমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়,পুকুরিয়া বড় মাদ্রাসা,আল হেলাল ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে,সড়কটি অনেক ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করার কারণে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সড়কটির প্রায় অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে,যার ফলে সিএনজি অটোরিকশা গুলো দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে,এতে অনেকে পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করার দূর্ঘটনার কথাও প্রায় সময় শুনে থাকি,আর এবিষয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম আকতার ভাই,পুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইউনুছ,পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ওসমানসহ গিয়ে এমপি মহোদয়কে জনদূর্ভোগের বিষয়টি
অবহিত করেছি,তিনি এই সড়কের টেন্ডার হয়েছে বলে জানিয়েছেন,ওই টেন্ডারের কাজ শুরু হতে হয়তো আরো সময় লাগতে পারে,তাই বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে ইট-বালি দিয়ে সড়কে সৃষ্ট গর্ত ভরাট করে দিচ্ছি,যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয়।
ওই সড়কটির প্রায় ৫ কি.মি. পর্যন্ত এভাবে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে,স্থানীয় চেয়ারম্যান হয়তো সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সড়কটি সংস্কারের জন্যে কোন উদ্যোগ নেয়নি,আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এই উদ্যোগ নিয়েছি,এখন যে পরিমাণ কাজ করেছি তাতে মানুষ অন্তত ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে বলে আমি মনে করি।