কয়লা সংকটে আজ থেকে বন্ধ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। ফের চালু হতে সময় লাগবে ১ মাস
আনোয়ার হোসেন আনু, সত্যকন্ঠ;নিজস্ব প্রতিবেদক:
চালু হওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই কয়লা সংকটে আজ সোমবার দুপুরে বন্ধ হয়ে গেছে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ডলার সংকটে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে না পারায় কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, কয়লা কেনার জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে সরকার। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আসবে কয়লার জাহাজ। ফের সচল হয়ে উঠবে বন্ধ হয়ে যাওয়া পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানাগেছে, দুটি ইউনিট মিলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
কয়লা সংকটে গত ২৫ মে বন্ধ হয় প্রথম ইউনিট। আজ সোমবার দুপুরে বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিটও। এর ফলে পুরোপুরি বিদুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় দেশের সর্ববৃহৎ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির।
তবে নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে এলসি খোলা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই কয়লা চলে আসলে আবারও চালু হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশিদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি(সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাড়ায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করেছিল। এখন কয়লা সরবরাহকারী নতুন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বানিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। উৎপাদনে আসার পর এবারই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হচ্ছে এই বিদুৎ কেন্দ্রের।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, পূর্ণ সক্ষমতায় চললে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট চালাতে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়।