জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অনেকে আবার ঘুরে দেখছেন তিন নদীর মোহনা, লেম্বুরবন, শুঁটকিপল্লি, ঝাউবাগান ও গঙ্গামতিসহ পর্যটন স্পটগুলো। অনেকেই অর্ডার করেছেন বারবিকিউ, চিংড়ি ফ্রাই, সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছসহ অনেক কিছুই।
আগতদের এমন ভিড়ে অগ্রিম বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কুয়াকাটার চাহিদা পর্যটকদের কাছে কয়েকগুণ বেড়েছে।
মাদারীপুর থেকে ঘুরতে আসা ঝুমুর আক্তার নামে এক পর্যটক বলেন, আগামি ২৩ মার্চ পবিত্র রমজান শুরু তাই আমরা আজ কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। তবে আগেই রুম বুকিং করাতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি।
কুষ্টিয়া থেকে আসা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটা আগে কখনো আসা হয়নি। তাই আগে বুকিং না দিলে এসে রুম পাওয়া যাবে না বা রুম নিয়া এতোটা ভোগান্তি পোহাতে হবে বুঝতে পারি নাই। তবে সব কিছুই ভালো লেগেছে।
হোটেল কানসাই ইন (আবাসিক) এর ডাইরেক্টর মোঃ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ৩০% ডিসকাউন্টে তাদের রুম শতভাগ বুকিং রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।