নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে ৬৫ টি আমগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাগেছে, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংরক্ষিত বন এলাকার দক্ষিণ মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের জেলে নজীর মাঝির ছেলে সোহেল বন বিভাগের জমিতে ৭৫ টি আম চারা রোপন করে। মঙ্গলবার রাতের আধারে ৬৫টি গাছের চারা দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কারো সাথে শত্রুতা থাকতে পারে। এ জন্য আম গাছের চারা কেটে ফেলতে হবে এটা কেমন শত্রুতা। আমরা এহেন কাজের তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবী করছি।
বাগান মালিক সোহেলের অভিযোগ রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী বশির, সোহেল, বেল্লাল, আনছার, কালাম রাতের আধারে আম চারাগুলো কেটে ফেলে। এক বছর আগে এ গাছ লাগিয়েছেন। সোহেল জানান, সাগরে মাছ শিকার করে টাকা জমিয়ে ২০ হাজার টাকা খরচ করে আমের চারা রোপন করেছে।
বাগান মালিক সোহেলের বাবা নজীর মাঝি বলেন, আমরা রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন মতাদর্শী হওয়ায় সরকার পতনের জের ধরে চলতি মাসে পার্শ্ববর্তী বশির, সোহেল, বেল্লাল সহ ৭-৮ জনের একটি দল আমার উপর হামলা ও মারধর করে গুরুতর জখম করার পাশাপাশি বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করেছে। এর জের ধরে আমার ছেলের আমের চারা কেটে ফেলে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রতিবেশী আবুল হোসেন বলেন, সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি সোহেলের বাগানের আমের চারা কে বা কাহারা কেটে ফেলেছে। তবে যারা এমন কাজ করেছে তারা জগন্য কাজ করেছে। এর কঠোর বিচার হওয়া উচিত।
তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত কালাম আমের চারা কেটে ফেলার কথা অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা কাটছে আমরা জানি না। অহেতুক আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। তদন্ত করলে এর রহস্য বেড়িয়ে আসবে। তিনি বলেন এরা আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করেছে। এখনো তারা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেই এমন অভিযোগ করেছে বলে তার দাবী।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম জানান, আমি শুনেছি আমাদের রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার সোহেলের রোপনকৃত আম গাছের চারা দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলেছে। তিনি বলেন, ওই জমি আমাদের বন বিভাগের। নজীর মাঝি ও তার ছেলে সোহেল বিলেইজার হিসেবে পতিত জমি চাষাবাদ ও ফলজ গাছের বাগান সৃষ্টি করেছে আমাদের অনুমতি নিয়ে।