

সভায় এলজিইডি’র অধীন ঢাকা জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন “পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প’র” জন্য ১.৮৭২৬ একর ভূমি; নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলাধীন পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প’র” জন্য ৪.০৫৩০ একর একর ভূমি; নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য “আরবান ডেভেলপমেন্ট সিটি গর্ভার্নেন্স প্রকল্প’র জন্য ৩৬,৯৯০০ একর ভূমি”।
গাজীপুর জেলার দক্ষিণখান ও ধীরাম ‘ধীরাম আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে ১৬৮.৫০৪ একর ভূমি অধীগ্রহণসহ পুবাইল-ধীরাশ্রম রেল লিংক নির্মাণ; নরসিংদি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ম্যানেজমেন্ট (সিএমএডডব্লিউএম)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নরসিংদী জেলার সদর উপজেলাধীন বালুশাইর এফসিডিআই উপ-প্রকল্পাধীন দুটি ব্লুইচ গেট নির্মাণের জন্য ০.২৪৫৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ অনুমোদন করে।
সভায় ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভূমি একটি রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সড়ক, সেতু, ফ্লুইজগেট, বাঁধ নির্মাণ, রেললাইন স্থাপন, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ প্রকল্প কিংবা শিল্পায়নের মতো যে কোনো বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ অপরিহার্য। উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু সেই উন্নয়ন যেনো মানুষের জীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে এটাই একটি সরকারের মৌলিক নীতি। তাই ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনদুর্ভোগ লাঘব করা সর্বাধীক গুরুত্ব দিতে হবে।
এসময় তিনি ঢাকা সিলেট মহাসড়কে যানজটের কথা উল্লেখ করে বলেন অতিদ্রুত এর সমাধান জনগন দেখতে চায় এবং এই সড়কের সার্বিক বিষয় তিনি নিজে মনিটরিং করার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার বর্জ্য ব্যভস্থাপনার জন্য ভূমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে পুকুরের শ্রেণী পরিবর্তন না করার প্রতি জোর তাগিদ দেন।
জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশকৃত বিভিন্ন জেলা থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রাপ্ত ৫০ বিঘার উর্ধ্বের অধিগ্রহণ প্রস্তাব সমূহের মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলাধীন “চর ডেভেলপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন) (বাপউবো) সি-ডাইক (রিটার্ড)। বেড়ী বাঁধ নির্মাণ, রেগুলেটর নির্মাণ ও রেগুলেটরের ডাইভারশন চ্যানেল’ খনন কাজের জন্য বিভিন্ন মৌজায় ৯৪.১৬ একর ভূমি,২০,২০ একর, ৮৪.৪২ একর ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন করে।
“খুলনা জেলার কয়রা উপজেলাধীন পোল্ডার নং ১৪/১ পূর্নবাসন” শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ২.২৫৬ একর ভূমি; সিলেট সড়ক বিভাগাধীন “ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ” শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ১১.০৭১৩ একর, ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ১২,৯৫০৬ একর, ৮.৬৮৫৬ একর ১৪.১৯৩০ একর,১০,০৩৮৪ একর, ০.৯৬৪৩ একর, ০.২৫৬৫ একর,৭.৪৯৮০ একর, ১০.৪৭২৮ একর এবং ১১.৫২৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন করে। এছাড়াও “মাগুরা-নড়াইল (আর-৭২০) আঞ্চলিক মহাসড়কের বাঁক সরলীকরণসহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের ৪৬,৪৬৬৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন করে এই কমিটি।
সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোকাব্বির হোসেন, কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সেতু বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবসহ সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।







