জিয়াউর রহমান, জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
রাতের কুয়াশাছন্ন আকাশ আর শেষ রাতে শীতের আভাস জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের এই আগমনী বার্তায় চুয়াডাঙ্গার গাছিরা ব্যস্ত খেজুরের রস আহরণের (সংগ্রহ) জন্য খেজুর গাছ তৈরি (প্রস্তুত) করতে। শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুরের রস আহরণে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গাছিরা গাছ প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন। যারা খেজুরের রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে গাছ কাটায় পারদর্শী স্থানীয় ভাষায় তাদের গাছি বলা হয়।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা-বকশিপুর আমেরিকার জনগণের পক্ষে তৈরি সড়কের ধারে ও মাঠের খেজুর বাগানে গাছিরা হাত দা নিয়ে ও কোমরের সাথে গাছে দড়ি বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাঁচা-ছােলার কাজ শুরু করেছেন। শীত মৌসুম এলেই জেলায় সর্বত্র শীত উদযাপনের নতুন আয়ােজন শুরু হয়। খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ এলাকার গাছিরা। তাদের মুখে ফুটে ওঠে রসালাে হাসি।
শীতের দিন মানেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রস ও নোলেন গুড়ের মৗে-মৌ গন্ধ। শীতের সকালে খেজুরের তাজা রস যে কতটা তৃপ্তিকর তা বলে বােঝানাে যায় না। আর খেজুর রসের পিঠা এবং পায়েস তা খুবই মজাদার। এ কারণে শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে খেজুর রসের ক্ষীর, পায়েস ও পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। প্রতিদিনই কােনাে না কােনাে বাড়িতে খেজুর রসের তৈরি খাদ্যের আয়ােজন চলে। শীতের সকাল বাড়ির উঠানে বসে সূর্যের তাপ নিতে নিতে খেজুরের মিষ্টি রস যে পান করেছে, তার স্বাদ কােনােদিন সে ভুলতে পারবে না। শুধু খেজুরের রসই নয়, এর থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু পাটালি ও গুড়। খেজুরের গুড় বাঙালির সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। নোলেন গুড় ছাড়া আমাদের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যায় না। দামুড়হুদা
পৌর এলাকার গাছি আদু মন্ডল ও রঘুনাথ পুর গ্রামের সালাম জানান, আর মাত্র কয়েক দিন পরেই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হবে। রস থেকে গুড় তৈরির পূর্বে শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘ-ফালগুন মাস পর্যন্ত। প্রথমে বাজারগুলােতে উঠতে শুরু করবে সুস্বাদু খজুরের পাটালি ও গুড়। অবহেলায় বেড়ে ওঠা খেজুরের গাছের কদর এখন অনেক বেশি। এছাড়া খেজুর গাছের রস হতে উৎপাদিত গুড়ের দেশের বিভিন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী জানান, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ও চাষিদের ৫০ হাজারের বেশি খেজুর গাছ রয়েছে। এই গাছ থেকে যে রস সংগ্রহ করা হয় তার থেকে ৬০০ মেট্রিকটন গুড় উৎপাদন হয়।এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করে চাষির।
ে
উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী জানান, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ও চাষিদের ৫০ হাজারের বেশি খেজুর গাছ রয়েছে। এই গাছ থেকে যে রস সংগ্রহ করা হয় তার থেকে ৬০০ মেট্রিকটন গুড় উৎপাদন হয়।এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করে চাষির