বাবলু মিয়া,কোটচাঁদপুর:
ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে দুবাই প্রবাসীর বউ,কুয়েত প্রবাসীর লালসার শিকার হয়ে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের হরিন্দীয়া গ্রামের মোঃ বাবলুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ পারভিনা খাতুন থানার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন,আমার মেয়ে মোছাঃ শাহানাজ খাতুন (২৫) গত ৭ বছর পূর্বে
উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের ভগবানপুর গ্রামের তক্কেল হোসেনের বড় ছেলে দুবাই প্রবাসী তারেক হোসেনের সাথে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালই কাটছিলো।আমার জামাই গত ২ বছর পূর্বে দুবাই চলে যায়। এই সুযোগে আমার মেয়ে শাহানাজকে কুয়েত প্রবাসী কাজল হোসেন বিভিন্নভাবে অনৈতিক কূ-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন প্রবাসে থেকেই।
ইতিমধ্যেই গত বুধবার ১৫/০২/২০২৩ ইং তারিখে কাজল হোসেন প্রবাস থেকে এসে আমার জামাইয়ের বাড়ি থেকে,কাজল হোসেন,মিজান,আলম হোসেন,ফাহিমা খাতুন (ফাহি)’র সহযোগিতায় জোর পূর্বক একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় এ সময় আমার বেয়াই-বিএন বাড়িতে ছিলেন না। বর্তমানে আমি আমার মেয়ের খোঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাযায় কুয়েত প্রবাসী কাজল এর প্রথম স্ত্রী একই ইউনিয়ন রুদ্রপুর গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের কন্যা সোনালীর( ২৪) নিকট। গত ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বর্তমানে সোনালীর গর্ভে ভূমিষ্ট ৮ বছর ও ৫ বছরের দুই কন্যা সন্তান আছে।সোনালী এখন আবার ৫ মাসের গর্ভবর্তী। এরই
একপর্যায়ে সু-চতুর প্রবাসী কাজল প্রবাসে থেকে অর্থের মোহে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন মেয়ের সাথে। আগে কোন কিছু ছিল না কুয়েতে যায় শ্বশুর বাড়ির সহযোগিতায় আজ প্রবাসে থেকে টাকা পয়সার অহংকারে স্ত্রী সন্তানের জীবন বিপন্ন করে অন্যের প্রবাসী স্ত্রী কে নিয়ে অজানাই পাড়ি
জমিয়েছে। জানি না কোথায় আছে কি করছে এখন আমি কি করবো দুই কন্যা সন্তান তাতে আবার গর্ভে রয়েছে আরও এক সন্তান। আমার আর কি করার আছে।আমরা এখন গরীব মানুষ কাজল এখন কোটিপতি সে টাকা দিয়ে মাপ পেয়ে যাবে আমার বাবার অত টাকা নেই।আমরা কোথায় যাবো।বিচার সেই উপর ওয়ালার কাছে এভাবেই বিলাপ করতে
থাকেন স্ত্রী সোনালী।এবিষয়ে সু-চতুর কাজলের লালসার শিকার দুবাই প্রবাসী একই ইউনিয়নের ভগমানপুর গ্রামের তক্কেল হোসেনের ছেলে দুবাই প্রবাসী তারেকের বাসায় যেয়ে জানাযায়। তারেকের বাবা তক্কেল জানান,আমার ছেলে গত দুই বছর পূর্বে দুবাই চলে যায়।আমার দুই ছেলে প্রবাসী আমি তারেক এর মধ্যেই থাকি ওর মা ছোট ছেলে মধ্যে
থাকে। আমি সব অর্থকড়ি বউমা শাহনাজ এর কাছেই রাখি ঘটনার দিন আমি ও আমার স্ত্রী আত্মীয় বাড়ি গিয়েছিলাম।ফাঁকা বাড়ি পেয়ে আমার গচ্ছিত জমি বন্ধকের এক লক্ষ টাকা সোনার কানের দুল হাতের রুলি নিয়ে বউ মাকে নিয়ে কাজল উধাও কোন খোঁজ খবর নাই। পরে জানতে পারি আমার ছেলের মোবাইলে বউমা কোর্ট তালাকের কাগজ পাঠিয়ে দিয়েছে।এর বেশি কিছু জানি না। এ বিষয়ে কোন
অভিযোগ করিনি আমার ছেলে প্রবাসে আমরা বুড়ো মানুষ কি করবো। কুয়েত প্রবাসী কাজলের মা ফাহিমা বেগম জানান,আমার ছেলে শাহানাজ কে বিয়ে করেছে বউ তার সাথে আছে। আমার ছেলে দুই বউ নিয়ে সংসার করবে।আমার ছেলের সাথে আমার সব সময় কথা হচ্ছে।জানতে চাওয়া হয় দ্বিতীয় বিয়ে করতে প্রথম বউয়ের অনুমতি আছে কি না। মা ফাহিমা জানান তার আচরণ ভালো না।
এবিষয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানার কর্তব্যরত এস আই মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এ-র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।