গঙ্গাচড়ায় তিস্তাসেতু’র পার্শ্বে গড়ে উঠেছে কুমড়ার বাজার, লাভবান হচ্ছেন কুমড়া ব্যবসায়ী ও চাষীরা
মাটি মামুন, রংপুর:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর তিস্তাসেতু’র পার্শ্বে গড়ে উঠেছে কুমড়ার বাজার।
কৃষক ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা এ বাজার গড়ে তুলেছেন। রংপুরসহ আশপাশের ব্যবসায়ীরা এ বাজার থেকে কুমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।ভাল দাম পেয়ে রমজানে কুমড়া ব্যবসায়ী ও চাষীরা লাভবান হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নে বিস্তৃর্ণ তিস্তার চরে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে।কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করা কুমড়া এখন বিদেশসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয় চাহিদা পূরণে তিস্তা উত্তর পার্শ্বে মূল সড়কের ধারে গড়ে উঠেছে মিষ্টি কুমড়ার বাজার। এলাকার প্রায় ১০ জন ব্যবসায়ী ও কুমড়া চাষী এ অস্থায়ী বাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিন কুমড়া বিক্রি করছেন। এতে তাদের লাভও হচ্ছে ভাল।
কুমড়া ব্যবসায়ীরা জানান, তারা কৃষকদের কাছ থেকে সাড়ে ১০টা কেজি দরে মিষ্টি কুমড়া খেত থেকে বাজারে তুলে আনছেন। সেই কুমড়া পাইকারীভাবে ১৩ থেকে ১৫টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
ফলে প্রতিটি কুমড়ায় প্রায় ২০ টাকা লাভ করছেন তারা। প্রতিদিন প্রত্যেক ব্যবসায়ী দেড়শ থেকে ২’শ কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করছেন।
কুমড়া ব্যবসায়ী বুলু মিয়া (৩০), সাবিব (২৫), হাফিজুল (৪০), সাদ্দাম (৩৬) বলেন, চরের প্রতিটি খেতে মিষ্টি কুমড়া পরিপক্ক হয়ে গেছে।দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশে রপ্তানীর পর কৃষকদের কাছে যেসব কুমড়া থাকে, সেগুলো লোকাল মার্কেটে বিক্রির জন্য তারা আমাদের কাছে বিক্রি করে।আমরা সেই কুমড়া কিনে ২ থেকে ৩ টাকা মুনাফা যোগ করে পাইকারী দরে বিক্রি করি।
এতে আমাদেরও লাভ কৃষকেরও লাভ।
লক্ষীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে এলাকার কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে।সেই সাথে মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বর্তমানে ভাল বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠায় কুমড়া চাষীরা লাভবান হয়েছে।