চলছে শীতের রাজা মাঘের তান্ডব ফুটপাতের দোকান গুলোতে ছুটছেন নিম্ন আয়ের মানুষ
জসিম উদ্দিন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় যশোরের শার্শায় ফুটপাতের দোকান গুলোতে গরম কাপড়ের বেচাকেনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে কিছুটা বাঁচতে ভীড় করছেন ফুটপাতের দোকান গুলোতে।
শার্শার নাভারণ বাজারের ফুটপাতের দোকান ও শহরের বড় বড় শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, কম খরচে বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপি, মাফলার, শাল, ট্রাউজার, ফুলহাতা গেঞ্জি ও হুডিসহ বিভিন্ন শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। সাইজ অনুযায়ী দামও আলাদা। ১০০-দেড়শ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা দরে শীতের পোশাক মিলছে এসব দোকানে।
প্রায় সপ্তাহ ধরে তীব্র শীতের চোখ রাঙ্গানী দেখছে এই উপজেলা সহ গোটা দেশের মানুষ। ঠান্ডায় গরম পোশাকের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুটপাতের দোকান গুলোতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। ফুটপাতের এসব দোকান ছাড়াও শহরের বড় বড় শপিংমল গুলোতেও গরম কাপড় বিক্রি বেড়েছে।
তবে চাহিদা থাকায় শীতের পোশাকের দাম এবারও বাড়তি রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। বড় বড় মার্কেট গুলোতে একটু বেশি দাম হওয়ায় সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করতে বেশিরভাগ ক্রেতাই ফুটপাতের দোকানে একটু বেশি ঝুঁকছেন। দাম বেশি পেয়ে ক্রেতা নাজেহাল হলেও বিক্রি বেশি হওয়ায় খুশি রয়েছেন দোকানিরা।
ফুটপাতে গরম কাপড় কিনতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, যে ঠান্ডা পড়ছে বাচ্চার জন্য ও নিজের জন্য স্যুয়েটার কিনলাম। আগের থেকে একটু বেশি দাম চাইছে। দাম বেশি হলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।
ক্রেতা পারুল আক্তার বলেন, এবার শপিংমল গুলোতে যাওয়াই মুশকিল। আমাদের হিসেবের টাকা। তাই এখানেই কেনা সম্ভব। এজন্য ফুটপাতের দোকানে এসেছি।
পুরাতন কাপড় বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, শীত বাড়লেই ক্রেতার ভিড় বেড়ে যায় । এতদিন তেমন বেচাকেনা হয়নি। গত এক সপ্তাহ ধরে বেচাকেনা বেশ ভালো হচ্ছে।
পৌষ মাস শেষ করে চলছে শীতের রাজা মাঘের তান্ডব। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
শীতের দাপটে কর্মজীবনের গোতী কমে গেলেও শীতের তীব্রতা থেকে কিছুটা উপশম পেতে গরম কাপড়ের চাহিদা রয়েছে অনেক। তাই অসহায় ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানান সচেতন মহল।