নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার মো: মহিবুল্লাহ মহিব এর বিরুদ্ধে ৪৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত নালিশী মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন
(পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র
জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত রবিবার সকালে (২৭আগষ্ট) এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: মাহবুব মিয়া ও বাদী পক্ষের নিযুক্তীয়
কৌশুলী অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান সিকদার এ আদেশের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে চাাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করে সাংবাদিক মহিবুল্লাহ মহিব উল্এ্টো অভিযোগ করেন ক্রয়কৃত জমি বুজে নিতে গেলে একটি কুচক্রী মহল ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলা অভিযোগ করা হয়। এবিষয়ে মহিবুল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানান তিনি।
আদালত সুত্রেজানাগেছে, উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের আবদুল লতিফ শরীফ বংশ পরস্পরায় তার ৭০ বছরের ভোগদখলীয় কুয়াকাটা মৌজার বিএস খতিয়ান নং ১০৩৯, জমা খারিজ খতিয়ান নং -১৭৯৫, বিএস দাগ নং ৩২৭৯, জমির পরিমান ০.০৪৫০ একর জমি
নিয়ে সাংবাদিকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদা দাবীর এ মামলা দায়ের করেন।মামলায় বাংলা ভিশনের সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার মো: মহিবুল্লাহ মহিব, আল ফারাহ ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুর রব সহ ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, সাংবাদিক মহিবুল্লাহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে তার নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মামলায় বর্ণিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের যোগসাজশে জমি দখলসহ সংবাদ
প্রকাশের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে রাতা রাতি দামী গাড়ী,
ফ্লাট-বাড়িসহ বিপুল পরিমান বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গেছেন।মামলায় আরও বলা হয়, ২৪ আগষ্ট বিকাল অনুমান ৩টার দিকে বাদী তার কুয়াকাটামৌজার ভোগদখলীয় জমিতে দেখাশুনার জন্য গেলে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে
বেআইনীভাবে বাদীর ভোগদখলীয় জমিতে প্রবেশ করে ০.০৪৫০একর জমি যার বর্তমান মূল্য ৪৫,০০,০০০/-টাকা চাঁদা হিসেবে তাদের নামে লিখিয়া দেওয়ার দাবী করে। বাদী রাজী না হওয়ায় আসামী মহিবুল্লাহ নিজেকে
সরকারী দল ঘরানার একজন বড় সাংবাদিক বলে দাবী করে তার কথায় বাঘে মহিষে এক
ঘাটে পানি খায় বলে বাদীকে বলেন। এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে থেকে তাঁর (প্রধানমন্ত্রীর) নিউজ কাভার করেন, জমি কীভাবে নিতে হইবে তা তার
জানা আছে বলে বাদীর গলা চেপে ধরেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।এ বিষয়ে সাংবাদিক মহিবুল্লাহ গনমাধ্যমকে বলেন, তিনি সহ তার বন্ধুরা
কুয়াকাটায় জায়গা ক্রয় করেছেন। ক্রয়ের পর তারা বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান করেছেন। দীর্ঘবছর পর জনৈক লতিফ শরীফ ও তার পুত্র রহমান ওই জমি তাদের বলে দাবী করে তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছেন। ২৪ আগষ্ট তিনি বাদী
হয়ে তাদের নামে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চাঁদা দাবীর অভিযোগে মামলা করেছেন। যা আদালত ওসি, মহিপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন