পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে ফড়িয়ারা দখল করে ধানের ব্যবসায় করায় ভোগান্তিতে পড়েছে যানচলাচলসহ পথচারীরা। এতে করে সড়কে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটসহ নানা দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক, স্কুলের সামনের সড়ক দখল করে ধান ফড়িয়াররা ব্যবসা করছে। উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে ৬৯ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এপাশ ওপাশে প্রায় ২শ’ বস্তা ধান রেখে উচু টিলা বানিয়ে রেখেছে তারা। এছাড়া উপজেলার আরজবেগী বাজারের দক্ষিন পাশে প্যাদাবাড়ির সামনের সড়ক জুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ।
উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী বাজারের পুর্ব ও পশ্চিম পাশের সড়কজুড়ে ধানের বস্তা রাখা হয়েছে। উপজেলার টাকুরের হাটে সড়ক জুরে ধানের বস্তা, তারপাশে দাড়িয়ে আছে ট্র্যাক এতে করে দেখা দিয়েছে যানজট। সড়কে ধানের বস্তা ও ট্র্যাক রাখায় রাস্তার এক-তৃতীয়াংশ দখল করে ধান বস্তা, ট্র্যাকে উঠানো এবং ভ্যানগড়ী দিয়ে এনে নামানোর কাজ করছে দিনভর ধান ব্যবসায়ীরা।
দশমিনা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বড়গোপালদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহম্মেদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন, দশমিনা-পটুয়াখালী ও দশমিনা-বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে লোকজন গুরুত্বপূর্ন কাজে যায় এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করেন, রোগী বহন কারি এ্যাম্বুলেন্স এবং মালামালবাহী মিনি ও বড় ট্র্র্যাক আসা যাওয়া করে কিন্তু ধানের বস্তায় সড়কের বেশিরভাগ জায়গা দখল করায় যানজট সৃষ্টি হয়।
এতে করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় যানচলাচলকারী গাড়ির। আমার প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়াতে সময় ও জীবনের ঝুঁকি থাকে।বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ঠাকুরের হাট এলাকার বাসিন্দা খোকন মাঝি, রিপন ও কার্তিক চন্দ্র বলেন, এ বাজারটি সন্ধ্যার পর এলাকার বিভিন্ন পেশার লোকজন এসে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা-বেঁচা করে।
এখন বাজারটি জুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ। কেউ দেখার নেই মনে হচ্ছে ফড়িয়ারদের ধান ব্যবসা করার জন্য এই রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। এস্তুপের তলে শিশু ও বৃদ্ধরা যে কোন সময় পড়ে যেতে পারে।এ বিষয়ে দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়াডে সদস্য রিপন কর্মকার বলেন, এলাকার বিভিন্ন সড়ক দখল করে রাখা হচ্ছে ধানের বস্তা। এতে করে রাস্তায় যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে ধান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।