জামালপুরে অসদুপায় অবলম্বনে বাধা, হল সুপার ও কক্ষ তত্বাবধায়কদেরকে অবরোধ করে রাখে পরীক্ষার্থীরা
মো: শামীম হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি।
জামালপুর সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের হাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনে বাধা দেয়ায় হল সুপার ও কক্ষ তত্বাবধায়কদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) দুপুরে ওই কেন্দ্রে অনৈতিক সুবিধা না দেয়ার জন্য পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা তাদের অবরোধ করে রাখে।
পরে জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় হালদার ও পুলিশের একটি দল ঘটনস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়নে আনে। ভুক্তভোগীরা হলেন- হল সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, কক্ষ তত্বাবধায়ক,মোঃ রুবেল মিয়া, মো. সজল মিয়া, রাকিবুল বারী, রেহানা সুলতানা ও লাবণ্য আক্তার।
কেন্দ্রের হল সুপার ও খাস হাসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রফিকুল ইসলাম ও কক্ষ পরিদর্শক রুবেল মিয়া জানান- সদর উপজেলার হাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেস্টা ইউনিয়নের সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখানে হাসিল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাজিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা ভ্যানু কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সেখানে কিছু পরীক্ষার্থী অনৈতিক সুবিধা নেয়ার সময় কক্ষ পরিদর্শকরা বাধা দেন। পরে তারা পরীক্ষা শেষ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে কক্ষ তত্বাবধায়কদের উপর হামলা চালিয়ে অবরোধ করে রাখে। আরো জানান- এসব পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের এই কাজে বাধা দিতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুন্নাহার পুলিশ ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় হালদার ও পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে জামালপু সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, হল সুপার ও কক্ষ তত্বাবধায়কদের অবরোধের কথা শুনে ওখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেকে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য পরীক্ষা চলাকালীনে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়ার জন্য দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের হল সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখত আবেদন করেছেন।