জামালপুরে প্রকাশ্যে ঘুরছে ট্রেন পুড়ানো মামলার আসামী: খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ
মো: শামীম হোসেন,জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা ট্রেন পুড়ানো মামলা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম ও নাশকতা মামলার পলাতক আসামি জামালপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সফিউর রহমান সফি প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও রহস্যজনক কারণে তাকে গ্রেপ্তার করছেনা পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে সে আদালত ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এলাকায় দাম্ভিকতার সাথে বসবাস করে আসছে।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা ট্রেনের দুইটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৯ নভেম্বর রেলওয়ে পুলিশ বাদি হয়ে সরকারি সম্পদে আগুন দিয়ে বিনষ্ট করার অভিযোগে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে প্রধান আসামী করে ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ সময় আরও ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সেসময় শহর বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী খানসহ ১১ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে মামলার ৩ নাম্বার আসামি জামালপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সফিউর রহমান সফি প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। উপজেলা বিএনপির রাজনীতির পাশাপাশি সফিউর রহমান সফি জামালপুর পৌর এলাকার সিংহজানী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। এই সুবাদে তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াতসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ কর়ছেন।
শুধু আন্তঃনগর যমুনা ট্রেন আগুন দিয়ে পুড়ানো অভিযোগ নয়, বিএনপি নেতা সফিউর রহমান সফির বিরুদ্ধে রয়েছে জামালপুর পৌরসভার সর্দারপাড়ায় আকাবা আলিয়া মাদ্রাসায় বসে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম ও নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগ।
এ ঘটনায় গতবছরের ৩১ জুলাই জামালপুর সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলার ৩২ নাম্বার আসামী ছিলেন তিনি।
মামলার বিষয়ে সফিউর রহমান সফি সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি যাতে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য সরকার উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমাদেরকে বিভিন্ন মামলার আসামি করেছে। এ সব কিছু মিথ্যা এবং সাজানো। তবে এসব মামলায় জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর রেলওয়ে থানার এসআই মোঃ তারা মিয়া জানান, ট্রেন পুড়ানো মামলায় ৩ নং আসামী সফিউর রহমান সফি জামিন না নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।বিএনপির এই নেতা জামালপুর শহরে প্রকাশ্য ঘুরলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার না করায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।