জামিন পেলেন রাসিক কাউন্সিলর মতি
সোহেল রানা, রাজশাহী:
রাজশাহী সিটি নির্বাচনের প্রচারণার সময় বাড়িতে হামলার অভিযোগ এনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের ভাগ্নের দায়ের করা মামলায় অপর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতিসহ ১৪ জনকে আগাম জামিন দিয়েছেন রাজশাহীর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।আজ রোববার সকালে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) শরিফুল ইসলাম দু’পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন বিজ্ঞ আইনজীবী অমীন্দ্রনাথ সাহা (মুন্না)। বাদী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রহিসুল ইসলাম।এর আগে গত ১৭ জুন রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মতিউর রহমান মতির নির্বাচনি প্রচার মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মতির প্রায় দশজন কর্মী-সমর্থক গুরুতরভাবে আহত হন। ওই সময় মতি দাবি করেন, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জহিরুল ইসলাম রুবেলের নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয়। এনিয়ে তিনি রুবেলসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।তবে জহিরুল ইসলাম হামলার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে অস্বীকার করে উল্টো তার বাড়িতেই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এনিয়ে তিনিও মতিউর রহমান মতিসহ তার মোট ১৪ জন কর্মী-সমর্থকদের আসামি করে রাজপাড়া থানায় আরেকটি পাল্টা মামলা দায়ের করেন। এই মামলাতেই আদালত থেকে আগাম জামিন পেলেন মতিউর রহমান।
ঘটনার দিন উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ১৭ জুন বিকেল পাঁচটার দিকে কাউন্সিলর প্রার্থী মতির নেতৃত্বে তার একটি নির্বাচনী প্রচার মিছিল বের হয়। ভাটাপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে চন্ডিপুর হয়ে শ্রীরামপুরের দিকে যাওয়ার সময় চন্ডিপুর এলাকায় আরেক প্রার্থী রুবেলের লোকজন অতর্কিত ককটেল হামলা করে।
এ সময় মিছিলকারীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করলে লাঠি-সোঁটা দিয়ে তাদেরকে পেটাতে থাকে রুবেলের সমর্থকরা। এতে প্রার্থী মতির অন্তত ১০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। পরে কয়েকজনকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এছাড়াও মিছিল থেকে শিশুসহ মতিউর রহমানের কয়েকজন কর্মীকে তুলে নিয়ে রুবেল নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এতে করে দিনব্যাপী অত্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল ওই এলাকাজুড়ে।